
মোহাম্মদ আলী : শ্বশুড়ের ধর থেকে কল্লা কেটে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া কুখ্যাত জামাই, হত্যা মামলার প্রধান আসামী, খোরশেদ আলী আজও অধরা। ঘটনার ২০ দিনেও তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ। দ্রুত গ্রেফতারের দাবি এলাকাবাসীর।
শনিবার, ঘটনাস্থল সরেজমিন গেলে, খোরশেদকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি তুলেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, নিহত হাসেন আলী পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি ছিলেন। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাটির বাসনপত্র বিক্রি করতেন। স্বস্ত্রীক ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ের সংসার তার। সুন্দর চেহারা দেখে একই গ্রামের পাশের পাড়ার ইনছান আলীর ছেলে খোরশেদ আলীর কাছে মেঝো মেয়ে হাছিনাকে বিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের বছর যেতে না যেতেই শ^শুড় বাড়ির লোকজনরা মেয়েকে নির্যাতন করতে শুরু করে। তারপরেও মেয়ের সংসার টিকাতে বাবা হিসাবে স্থানীয় সব ধরণের চেষ্টা করেন হাসেন আলী। এরই মধ্যে মেয়ে হাছিনার কুলজুড়ে একটি ছেলে সন্তান আসে আরেকটি গর্ভে। এদসত্বেও নির্যাতন বন্ধ না হওয়ায় অগত্যা মেয়ে হাছিনাকে বাদী করে জামালপুর আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা করেন তিনি। এই মামলাই কাল হয় তার। মামলা করায়, জামাই খোরশেদ আলম ও তার পরিবার ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে হাসেন আলীর উপর। মামলা তুলে নিতে একাধিকাবার হুমকিও দেয়। নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মামলা আপোষ করার সিদ্ধান্ত নেন। আপোষের কথা বলে এ মাসের ১ তারিখে আদালত থেকে জামাইকে জামিন করিয়েও আনেন। এর পরেরদিন ২ অগাষ্ট আপোষের কথা বলে খোরশেদ ও তার লোকজনরা স্থানীয় মোহাম্মদপুর বাজারে ডেকে নিয়ে যায় তাকে। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
এদিকে বাবা বাড়িতে ফিরে না আসায় রাত থেকে এদিক সেদিক সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে সন্তানরা। দুই দিনেও তার কোনো হদিস মিলে না।
অতঃপর ৪ঠা অগাষ্ট হাসেন আলীর পরিবার, লোকমুখে শুনতে পায় ইসলামপুরে পলাবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের ধারে হাসেন আলী কল্লা ভাসছে। এর কিছুক্ষণ পর খবর পায় মেলান্দহের ডেফলা ব্রিজের কাছ থেকে শির বিহীন এক লাশ উদ্ধার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ। ছুটাছুটির এক পর্যায়ে সন্তানরা বাবার লাশ সনাক্ত করে।
এই ঘটনায় হাসেন আলীর বড় ছেলে সুন্দর আলী বাদী হয়ে ইসলামপুর থানায় একটি হত্যা দায়ের করেন। মামলা নিয়ে পুলিশ আসামী আব্দুল হালিম, লাল চাঁন ও হাফেজ আলীকে গ্রেফতার করলেও মামলার প্রধান আসামী জামাই খোরশেদকে শনিবার পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে ইসলামপুর থানার ওসি মোঃ আব্দুল্লাহ আল- মামুন বলেন, ইতিমধ্যে মামলার ৩জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামীকেও গ্রেফতারের অভিযান চলছে। খুব শিঘ্রই সে গ্রেফতার হবে, ইনশা আল্লাহ।
এলাকাবাসী, কুখ্যাত খুনি, জামাই খোরশেদকে দ্রæত সময়ে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।