![]() |
| কলসি মাথায় পানি আনতে মেটোপথ পাড়ি দিচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা |
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিদ্যালয়ের মিড'ডে (বিরতীর) সময়ে ৪/৫জন শিক্ষার্থীর একটি দল কলসি নিয়ে পানি আনতে যাওয়ার দৃশ্যটি দেখা যায়। দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। স্কুল থেকে প্রায় আধা কি.মি দূরে এক শিক্ষার্থীর পারিবারিক নলকূপ থেকে এভাবে প্রতিদিন পানি আনে শিক্ষার্থীরা। এ কয়েক কলসি পানিতেই সারাদিন কাটিয়ে দেয় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে তীব্র গরমে পানীয়জলের সংকটে শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তারা কোন উপায় না দেখে প্রয়োজনের তাগিদে পানি খেতে বাড়ি চলে যায়। তাছাড়া পশ্চিম চাম্বল ডেপুটিঘোনা গ্রামের ১নং ওয়ার্ডে হাতেগোনা যে কয়েকটি গভীর নলকূপ আছে, তাও মোটরচালিত। বিদ্যুৎ না থাকলে এ বিপর্যয় আরো চরম আকার ধারণ করে। এমনকি পুরো গ্রামের মানুষরাও জল সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন। এখানে একটা নলকূপ বসাতে প্রায় দেড়/দুইলাখ টাকার খরচ পড়ে। এতো ব্যয়বহুল নলকূপ বসানোর সামর্থ্য এই গরিব এলাকার মানুষের নেই।
ওই স্কুলের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত, বেলাল, রিকু, উর্মি; ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী কমরুন্নাহার। ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী হেলাল ও রহিম ওরা প্রায় সময় পানি আনতে যায় বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাছাড়া পানি আনতে বললে ওরা পালিয়ে যায়, অনীহা প্রকাশ করে!
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জোবাইর জসীম জানান, "জলেরএই সমস্যার কথা বার বার জানিয়েছি। কিন্তু স্থায়ী সমাধান হয়নি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে আমি আবেদন করেছি বাঁশখালী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে। কিন্তু জানি না কবে আসবে সাধের নলকূপ"।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।