অপি রাণী রায় |
শুক্রবার সন্ধায় ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল থেকে দিনাজপুর মেডিক্যালে নেয়ার পরে ঐ শিক্ষার্থী মারা যায়। দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফারহানা আখতার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপি রাণী রায় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা গ্রামের অনুকুল চন্দ্র রায়ের মেয়ে।
অপীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কাচিং করতে ঢাকায় যায় অপি। জ্বর নিয়ে গত ৪ আগস্ট ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ মামার বাড়িতে আসে অপি রাণী । সেখানে জ্বর বাড়লে তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপির অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। শুক্রবার দিনাজপুর মেডিক্যালে নেয়ার পরে তার মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (০৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে গেলে জানা যায়, এ বছরে ঠাকরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে মোট ৬৬ জন রোগী। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৪ জন, মহিলা ও শিশু মিলে ১২ জন। এদের মধ্যে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে মোট ২৯ জন রোগী। পুরুষ ওয়ার্ডে ২০ জন ও মহিলা ওয়ার্ডে ৯ জন রোগী এবং ঠাকুরগাঁওয়ের এখন পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ জন।
এর আগে ৬ আগস্ট জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ভকরগাঁও গ্রামের রবিউল ইসলাম রুবেল নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র এবং ২৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ফিরোজ কবির ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগরে।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আমরা সব সময় সজাগ রয়েছি। নতুন কোন রোগী এলেই আমরা গুরুত্ব সহকারে সনাক্ত করছি ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করছি।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।