
সেবা ডেস্ক: গেল ঈদুল আজহায় টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মেহেদী হাসান ৪০ মণ ওজনের তার প্রিয় ‘কালাবাবু’কে ঢাকার কোরবানির হাটে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে কালাবাবুর ক্রেতা মেলেনি। তাই আবার তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছেন তিনি।
গরুর মালিক মেহেদী হাসান জানান, কালাবাবুকে নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন। গত বছরও ঢাকার একটি হাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নয় লাখ টাকা দাম উঠেছিল। আরও দামের আশায় গতবার বিক্রি করেননি। এক বছর লালন পালনের পর কালাবাবুর ওজন এবার তিন মণ বেড়ে ৪০ মণ হয়েছে। কিন্তু ক্রেতা পাওয়া যায়নি। হাটে নেওয়ার আগে বাড়িতে পাইকাররা এসে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছিলেন।
এই কালাবাবু লম্বায় ৮ ফুট। বয়স সাড়ে ৬ বছর। কালাবাবু দেশীয় জাতের ষাঁড় গরু। তাকে লালন পালন করেছেন উপজেলার হাবলা উত্তরপাড়া গ্রামের মেহেদী হাসান। এবার কোরবানির ঈদে কালাবাবুই টাঙ্গাইলের সবচেয়ে বড় গরু ছিল।
প্রায় সাড়ে ৬ বছর আগে মেহেদীর খামারেই জন্ম হয় কালাবাবুর। এরপর থেকে তাকে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন পালন করা হচ্ছে। গত কোরবানিতে এই গরুটির ওজন ছিল প্রায় ৩৭ মণ। সেই সময় কালাবাবুকে ঢাকার একটি হাঁটে উঠানো হয়। সেখানে ক্রেতারা এই গরুটির দাম নয় লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মেহেদী বেশি দামের আশায় গরুটি ওই সময় বিক্রি করেননি। এক বছর লালন পালনে তার প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়।
এবার ঈদের পাঁচদিন আগে কালাবাবুকে ঢাকার মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের কোরবানির হাটে নিয়ে যান মেহেদী হাসান।
তিনি জানান, হাটে নেওয়ার পর থেকে সবাই শুধু দেখতে আসেন। অনেক মানুষ জড়ো হয়। তিনি ১৫ লাখ টাকা দাম চান। আরও কম হলেও বিক্রি করে ফেলতেন। কিন্তু কেউ তেমন দামই বলেননি।
মেহেদী হাসান জানান, ষাঁড়টি দেখতে কালো বলে তার নাম ‘কালাবাবু’ রাখা হয়। কালাবাবু খুবই শান্ত প্রকৃতির। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরামর্শক্রমে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করেছেন। এবারও বিক্রি করতে না পারায় তিনি হতাশ।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।