সেবা ডেস্ক: সারা দেশের ন্যায় খুলনায় ব্যাটারিচালিত রিকশার আধিক্য বেড়েছে। ফলে যানজটের সঙ্গে বেড়েছে দুর্ঘটনার পরিমাণ। তাই ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। তবে ১ জুলাই থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কথা থাকলেও তা হয়নি।
অবশেষে ১ অক্টোবর থেকে নগরীতে ইঞ্জিন চালিত রিকশা নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। এরইমধ্যে ওইসব রিকশার ইঞ্জিন খুলে ফেলতে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। নিজ উদ্যোগে ইঞ্জিন খুলে ফেলতে কেসিসির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিকশার ইঞ্জিন না খুললে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেসিসি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরীতে কেসিসির নিবন্ধিত রিকশার সংখ্যা ১৭ হাজার। ২০১৮ সালের শুরু থেকে নগরীর রিকশাগুলোতে ব্যাটারিচালিত ইঞ্জিন সংযোজন শুরু হয়। ইঞ্জিন সংযোজনের পর রিকশায় গতি পেলেও এই গতি নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা এতে নেই। ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগের লাগামহীন আতঙ্ক। ফলে অতিরিক্ত গতির এই রিকশা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই নগরীতে ইঞ্জিনের রিকশায় দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।
অদক্ষ চালক আর অবৈধ রিকশায় ছেয়ে গেছে নগরী। এসব ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনারোধ এবং সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রিকশা থেকে ইঞ্জিন খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেসিসি। কেসিসির সাধারণ সভায় বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিকশা থেকে ইঞ্জিন খুলে ফেলতে মাইকিং করা হচ্ছে।
সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, জানমালের নিরাপত্তা নেই ব্যাটারি চালিত রিকশায়। এরা রিকশার ঐতিহ্য নষ্ট করেছে।তাদেরকে বিনা বাধায় ব্যাটারি ছাড়া চলাচলের জন্য বলা হয়েছে। ব্যাটারি লাগিয়ে চলাচলের কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ ইঞ্জিন চালিত রিকশা। না হলে পুলিশ দিয়ে ইঞ্জিন খোলার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।