শ্রীবরদীতে খালেরপাড় ভাঙনের কবলে চারটি পরিবার

S M Ashraful Azom
0
শ্রীবরদীতে খালেরপাড় ভাঙনের কবলে চারটি পরিবার
ছবিতে- শ্রীবরদীর জালকাটা খালেরপাড় ভাঙন কবলিত ঘরবাড়ি। 

রেজাউল করিম, শেরপুর প্রতিনিধি: বন্যা পরবর্তী শেরপুরের শ্রীবরদীতে খালেরপাড় ভাঙনের কবলে পড়েছে চারটি পরিবারের ঘরবারি। পৌর শহরের জালকাটা এলাকার পরিবারগুলো কয়েকদিন যাবত খালেরপাড় ভাঙনের কবলে পড়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। সোমবার সরেজমিন গেলে দেখা যায় তাদের খালেরপাড় ভাঙনের চিত্র।

জানা যায়, শ্রীবরদী সীমান্ত এলাকা হতে আসা সোমেশ্বরীর নদীর শাখা বয়ে আসছে পোড়াগড় ব্রীজের নিচ দিয়ে জালকাটা হয়ে ষাইটকাকড়া বিলে। গত বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায় জালকাটা এলাকার খালেরপাড় ঘেষেঁ কাচাঁ সড়ক। এ সড়কটির পাশে ছিল কয়েকটি বাড়ি। ইতোমধ্যে খালেরপাড় ভাঙনের কবলে পড়ে কয়েকজন বাড়ি সরিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি খালের পানি নেমে গেলেও দেখা দিয়েছে খালেরপাড় ভাঙন। সম্প্রতি ভাঙনের কবলে পড়ে ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন হাবিবুর রহমান ওরফে খটটু মিয়া, মমতাজ উদ্দিন, কুদ্দুস আলী ও ময়না বেগম। এদের মধ্যে ময়না বেগম জানান, বন্যার পর থেকে একটু একটু করে খালের পাড় ভেঙে আসছে। এর মধ্যে তাদের বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে গেছে। কয়েকদিন আগে বসত ঘরটিও পড়েছে ভাঙনের কবলে। তিনি বলেন, আমি বিধবা। ছেলে মেয়ে নিয়ে এই এক খন্ড জমিতে ঘর তুলে বসবাস করে আসছি। আমার আর কোনো সহায় সম্পদ নাই। অহন বসত ঘর সরাইতাছি। এভাবে ভাঙতে থাকলে আমার বাড়ি পুরাডাই খালে পইরা যাইব। আপনারাই কন কই যামু? ভাঙন কবলিত জহুরা বেগম বলেন, এক ছেলে আর দুই এতিম নাতি নিয়ে কোনো মতো এইহানে থাহি। ঘরডা যদি খালে ভাইঙ্গা যায় তাহলে আর ঘর তোলার জায়গা নাই। তার মতো হতদরিদ্র কুদ্দুছ আলী, মমতাজ উদ্দিন ও খটটু মিয়া শোনালেন একি কথা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর বলেন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারা যদি আবেদন করে তাহলে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে। প্রশাসন বা কোনো জনপ্রতিনিধিরা খালেরপাড়ে বাঁধ দিয়ে ভাঙন বন্ধ করবে। এতে রক্ষা পাবে তাদের বাড়ি। এমনটাই দাবি তুলেছেন সেখানকার ভাঙন কবলিত লোকজনসহ স্থানীয়রা।



 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top