
সেবা ডেস্ক: ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এখনও অঞ্চলটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে কাশ্মীর এখন উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। আর ক্রমবর্ধমান এ উত্তেজনা পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নেয়ার বড় ঝুঁকি রয়েছে বলে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে তার দেশের পরমাণু যুদ্ধ বেধে যেতে পারে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের কাছে থেকে তেমন কোনো ভূমিকা প্রত্যাশা করেন না উল্লেখ করে ইমরান বলেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর গঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছ থেকে আমরা বেশি কিছু আশা করি না। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পাকিস্তান কথা বলেছে।
কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা ভারত সরকার বাতিল করার পর বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, পুরো বিষয়টির পেছনে রয়েছে বড় বাজার। কিছু দেশ বড় বাজারের দিকে নজর রাখে। তারা ভারতকে ১০০ কোটি মানুষের বাজার হিসেবে দেখে। তারা বুঝতে পারে না যে, তারা যদি এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ না করে তাহলে এর পরিণতি কেবল উপমহাদেশ নয়, পুরো বিশ্ববাণিজ্যকে বহন করতে হবে- প্রত্যেকে এর মাধ্যমে প্রভাবিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের যে সম্ভাবনার কথা বলেছেন তাতেও সমর্থন জানান ইমরান। তিনি বলেন, যা ঘটছে তা হচ্ছে ভারত সরকার কম-বেশি গণহত্যা চালাচ্ছে। এটা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো বর্ণবাদী হামলা।
ইমরান খান বলেন, আমি মনে করি না, জার্মানির নাৎসিদের পর এরকম আর দেখা গেছে। ৮০ লাখ মুসলমান প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ। এটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জ্বলন্ত বিন্দু হয়ে দাঁড়ানোর কারণে ভারত কাশ্মীরে তাদের অবৈধ দখল ও গণহত্যা থেকে বিশ্বের নজর অন্যদিকে সরাতে চাইছে।
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ যখন যুদ্ধ করে, তারা যদি প্রচলিত যুদ্ধ করে- তাহলে তা পরমাণু যুদ্ধ দিয়ে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।