রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ঘরের ভেতর বিছানার উপর শুয়ে থাকা ৯ মাস বয়সের অবুঝ শিশুর পাশে থেকে তার মা রিতা খাতুনের (২০) ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রিতা খাতুন উপজেলা সদরের বেলকুচি গ্রামের নুরুন্নবী হোসেনের স্ত্রী। নিহত গৃহবধুর স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার সকালের দিকে রিতার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের মেয়ে রিতা খাতুনের প্রায় ২ বছর আগে ধুনট উপজেলা সদরের বেলকুচি গ্রামের বুলু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবীর সাথে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক সন্তানের জন্ম হয়েছে। নুরুন্নবী পেশায় কাঠমিস্ত্রি।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্বামীর ঘরে ধর্ণার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় রিতার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। এ সময় রিতার স্বামী নুরুন্নবীকে বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে রিতার ৯ মাস বয়সের সন্তান ঘরের ভেতর ঘাটের উপর বিছানায় শুয়ে ছিল। পরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থল থেকে রিতার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে নিহত রিতার মামা ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, আমার ভাগ্নিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে নুরুন্নবী হোসেন। এ ঘটনায় থানায় মৌখিক অভিযোগ দিলে পুলিশ তা আমলে নেয়নি। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের আলোকে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।