
সেবা ডেস্ক: গতকাল শুক্রবার কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের সুতারচর জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায়কালে একদল ইয়াবা কারবারির হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। এদের মধ্যে আবদুল মালেক নামের একজন মুসল্লির অবস্থা গুরুতর।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ আলী তার ৮ সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার কারবার করে আসছেন। এলাকাবাসী বাধা দিয়ে আসছিল পরিবারটির ইয়াবার কারবার নিয়ে। ইয়াবা কারবারের প্রতিবাদকারীদের অন্যতম ব্যক্তি হচ্ছেন একই এলাকার আবদুল মালেক নামের একজন গ্রামবাসী।
ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানিয়েছেন, ইয়াবা পরিবারটির সদস্যরা গত দু’দিন আগে প্রতিবাদকারি আবদুল মালেককে মারধর করে তার টাকা-পয়সা এবং মোবাইলও ছিনিয়ে নেয়। সর্বশেষ আজ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ইয়াবা কারবারিরা মসজিদের বাইরে ওঁৎ পেতে ছিল। মসজিদের ইমাম নামাজের ইমামতি শুরু করার সাথে সাথেই কারবারির দল ধারালো দা, কিরিচ ও লোহার রড নিয়ে মসজিদে হামলা শুরু করে।
হামলায় নামাজরত মুসল্লিদের মধ্যে ইয়াবার প্রতিবাদকারী আবদুল মালেককে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা নামাজরত মুসল্লি আবদুল মালেককে মসজিদের ভেতর থেকে টানাহিঁচড়া করে বাইরে বের করে নিয়ে আসে।
এরপর মসজিদের উঠানেই কারবারি ইউসুফ ও তার ৪ পুত্র যথাক্রমে রাজা মিয়া, নবাব মিয়া, সাদ্দাম হোসেন এবং ওসমান গনি তাদের হাতে থাকা ধারালো রামদা, কিরিচ ও লোহার রড নিয়ে কোপাতে থাকে।
ইয়াবা কারবারি পিতা-পুত্র পাঁচজনের এলোপাতাড়ি কোপে আবদুল মালেকের মাথাসহ সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খায়রুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযানে নেমেছে মসজিদে হামলাকারী ইয়াবা কারবারি পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তারে। তিনি আরো জানান, ইয়াবা কারবারি ইউসুফ আলীর ৮ পুত্রের মধ্যে এরই মধ্যে র্যাব ও পুলিশের হাতে তিন পুত্র গ্রেপ্তার হয়েছে। তবুও পরিবারটি ইয়াবা কারবার ছাড়াও এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।