রফিকুল আলমল,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক বাদশা মিয়াকে বিভিন্ন অনিয়ম, দূনীর্তির ও ক্ষমতার অপব্যাবহারের অভিযোগে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। চালকের অনিয়ম-দূর্নীতির বিষয় গুলো খতিয়ে দেখার অজুহাত দেখিয়ে ১৫দিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে রোগীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক বাদশা মিয়া প্রায় সাড়ে ৫ বছর আগে এই কর্মস্থলে যোগদান করেন। কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যাবহার, অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠে।
চালক বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে এ্যাম্বুলেন্স মেরামত ও জ্বালানী খরচের ভ‚য়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ঢাকায় এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেওয়া, স্টোরের মালামাল নিজ হেফাজতে রাখা, বরাদ্দ না নিয়ে সরকারি স্ট্যাফ কোয়ার্টারে বসবাস, অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে টানা সাড়ে ৫ বছরে কর্মস্থলে তার অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয় গুলো স্বাস্থ্য বিভাগের নজরে আসে। ফলে ১৬ সেপ্টেম্বর চালক বাদশা মিয়াকে তাৎক্ষনিক ভাবে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করা হয়েছে। তার দাখিলকৃত জ্বালানী খরচের ভাউচার ও এ্যাম্বুলেন্সের মিটারের সাথে লক বইয়ের কোন মিল নেই। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ১৬সেপ্টেম্বর থেকে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে রোগীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে চালক বাদশা মিয়া বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরে জায়গার অভাবে এ্যাম্বুলেন্সের গ্যারেজে মালামাল সংরক্ষন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ঢাকায় এ্যাম্বুলেন্স সর্ভিস দেওয়া হয়েছে। সরকারি স্টাফ কোয়ার্টার প্রায় তিন মাস আগে বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগ গুলো তিনি অস্বীকার করেছেন।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাসিবুল হাছিব এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ্যাম্বুলেন্সের মিটারের সাথে লক বইয়ের মিল নেই। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে রোগীদের সাময়িক ভাবে অসুবিধা হচ্ছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।