
সেবা ডেস্ক: ধান আবাদ করে ভালো দাম না পেয়ে যখন হতাশায় ভুগছেন বাংলাদেশের কৃষকরা। ঠিক তখনই ধানের আবাদ বাদ দিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর কৃষক সাজারুল ইসলাম নিরাপদ উপায়ে পটল চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে আলোর মুখ দেখছেন।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রানুযায়ী, এখানকার ৫২ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার দিয়ে কৃষকদের ধানের পাশাপাশি সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
গোদাগাড়ীর বিদিরপুর গ্রামের পটল চাষী সাজারুল ইসলাম জানান, ধানের আবাদ করে কোনো লাভের মুখ দেখতে পাই না। বছরের পর বছর লোকসান হচ্ছে। তাই এবার পটল চাষের দিকে ঝুঁকেছি। এতে তিনি লাভের মুখও দেখেছেন।
সাজারুল আরো জানান, এবার তিনি ২৩ কাঠা জমিতে পটল ও ঢেঁড়স চাষ করেছেন। এর মধ্যে ১৫ কাঠা জমিতে শুধু পটলের আবাদ। বাংলা মাস অগ্রহায়ণে পটলের চাষ শুরু করেন তিনি। মাঝে চারমাস পটলের জমি পরিচর্যা করে চৈত্র মাস থেকে গাছে ফল আসতে শুরু করে। এই ১৫ কাঠা জমি আবাদে তিনি এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা পটল বিক্রয় করে টাকা জমিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, আরো একমাস এভাবে ফসল তুলে বিক্রয় করতে পারবেন। তিনি আরো জানান, প্রতি সপ্তাহে এই জমি হতে ৭-৮ মণ পটল তুলেন। এখন যতই দিন যাবে ততই আরো বেশী ফসল তুলবেন। প্রতি কেজি পটল তিনি ২৫-২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। সামনের দিনে পটলের দাম আরো বাড়বে ফলে আরো বেশী লাভ হবে। এবারের মৌসুমে তিনি প্রায় এক লাখ টাকার অধিক ফসল তুলবেন বলে আশা করেন। সেই হিসেবে কৃষক একটি মৌসুমে ৮০-৯০ হাজার টাকা লাভ করবেন।
কৃষক সাজারুল বলেন, আগামীতে পটলের আবাদ বাড়িয়ে দিবো। ধানের আবাদের চেয়ে এই পটল চাষ লাভজনক।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ধানের দাম নিয়ে কৃষকদের মাঝে শঙ্কা থাকায় তারা লাভবান হতে পারছে না। কৃষকদের অর্থনৈতিক লাভের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উপজেলায় অনেক জায়গাতে কৃষক পটল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে। আশা করছি আগামীতে এই উপজেলায় পটলের আবাদ বেড়ে যাবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।