
সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশ এখন শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, ‘দেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকায় এবং কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে বিদেশে চাল রফতানি করা হচ্ছে। এবছর ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল রফতানি করা হবে।’
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আসন্ন আমন সংগ্রহ ২০১৯-২০ কার্যক্রম উপলক্ষে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও চালকল মালিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যবারের চেয়ে বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে বেশি পরিমাণে চাল কেনা হয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে আরও বেশি চাল সংগ্রহ করা হবে।’
দেশে বরাবরই প্রান্তিক চাষিরা ধানের ন্যায্যমূল্য পান না স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রান্তিক কৃষকরা ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই কাঁচা অবস্থায় তা বিক্রি করে দেন। আর পরবর্তী সময়ে এর সুফল পায় মধ্যস্বত্বভোগীরা। প্রান্তিক কৃষকরা একটু ধৈর্য ধরলে ধানের ভালো দাম পাবেন।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মনে যদি পোকা না থাকে, তাহলে খাদ্য গুদামের চালেও পোকা ধরবে না। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের কারণে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের হয়রানি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষক বাছাই করে তাদের কাছ থেকে ধান ও চাল ক্রয় করা হবে। শিগগিরই খাদ্য গুদামগুলোকে কীটনাশক ও স্প্রে মেশিন দেওয়া হবে।’
মতবিনিময় সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জাকিয়া তাবাসসুম জুই, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মোছা. নাজমানারা খানম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।