রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদ হারাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সুলতান মাহমুদ। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদের সভাপতির পদ বাতিলের জন্য শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে পত্র পাঠিয়েছেন। চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা প্রতারণার ৯ মামলার আসমী হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়ায় সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুলতান মাহমুদ ২০১৭ সালে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মনোনিত হন। রাজনৈতিক বিবেচনায় স্থানীয় সংসদ সদস্যর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ধুনট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদ পান। গত ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুলতান মাহমুদ ধুনট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হন।
রাজনৈতিক পদ পাওয়ার পর তিনি দখলবাজি, চাঁদাবাজি, তদবির, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। সুলতান মাহমুদ সাবেক মন্ত্রী, এমপি, প্রশাসনিক ও বিভিন্ন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে পুলিশ কনস্টেবল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নামে অর্ধশত বেকার যুবকের সাথে প্রায় কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন।
প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা গত এক বছরে সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে বগুড়া আদালতে পৃথক ভাবে ৯টি মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে ৭টি মামলায় তিনি আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। বাকী ২টি মামলায় আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মুলে বুধবার বিকেলের দিকে ধুনট পৌর এলাকার চরধুনট গ্রাম থেকে সুলতান মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ধুনট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের ম্যানিজেং কমিটির সভায় উপস্থিত থাকেন না। এতে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে। এ বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রতারণার মামলায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুলতান মাহমুদ গ্রেফতার হয়েছেন। এ কারনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তার সভাপতির পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। ফলে তার সভাপতির পদ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য, শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে পত্র পাঠানো হয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।