
রেজাউল করিম, শেরপুর প্রতিনিধি : ফসলের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুন এবং নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)।
এ পর্যন্ত ১৭টি ফসলের ১০১টি জাত উদ্ভাবন করেছে বিনা। এছাড়া ৮টি ফসলের জন্য জীবানু সার উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা দামে সাশ্রয়ী এবং নাইট্রোজেন সারের পরিবর্তে ব্যবহার করা যায়। শেরপুরে বিনা উদ্ভাবিত ফসলেরর জাত ও প্রযুক্তি সমূহের সম্প্রসারণ ও ভবিষ্যৎ করনীয় বিষয়ক এক আঞ্চলিক কর্মশালায় এমন তথ্য জানান বিনা মহাপরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী।
শেরপুর এবং নেত্রকোনার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ২৫ জন কৃষি কর্মকর্তার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় তিনি বিনা উদ্ভাবিত ফসলের জাত ও প্রযুক্তি সমূহ কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করতে কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
১১ নবেম্বর সোমবার বিকেলে শেরপুর খামারবাড়ী সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আশরাফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বিনা পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. জাহাঙ্গীর আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিনা নালিতাবাড়ী উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিরন আক্তার।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারি কৃষি কর্মকর্তারা মাঠের অভিজ্ঞতার আলোকে বিনা ফসলে সার ও সেচ সমন্বয়ে সমস্যা, কিছু ধানে চিটা হওয়ার প্রবণতা, ফলনের তারতম্য এবং শস্য বিন্যাসে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন।
একইসাথে তারা বিনা’কে ব্রি ধান-২৮ এর বিকল্প ছাড়াও ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত ও উচ্চ ফলনশীল সব্জীর জাত আবিষ্কারের পরামর্শ দেন। এছাড়া উঁদুর নিধন কর্মসূচি গ্রহণ এবং কার্যকর কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনেরও দাবী জানান।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।