গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: জীবন জীবিকার তাগিদে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের তেলিয়া গ্রামে হারিয়ে গেছে শিশু আনন্দের কৈশোর। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই সংসারের দায়িত্ব নিতে তাকে শিশু শ্রমে নিয়োজিত হতে হয়েছে। আনন্দের পিতা বালিয়া বেশ কয়েক বছর আগেই মারা গেছে। এখন সংসারে সে এবং তার মা আয়োবালা। তার আর কোন ভাই নেই, চার বোন আছে, যাদের বিয়ে হয়ে গেছে। ফলে দরিদ্র এই পরিবারটির সংসার চলে তার আয়ে আর মা বাসাবাড়িতে কাজ করে যে আয় হয় তার উপর নির্ভর করেই। ফলে তার লেখাপড়ার সুযোগ আর হয়নি। সেজন্য দু’বেলা দু’মুঠো অন্য জোগাতে শিশু আনন্দকে বিল জলাশয় থেকে শাপলা, পদ্মফুল, পদ্মখোচা, শাপলা ফুলের বীজ ভ্যাট, কচু শাক বিক্রি সহ নানা কাজ করে তাকে অর্থ উপার্জন করতে হয়।
এখন বিল-জলাশয়ের পানি কমতে থাকায় শাপলা ফুলের বীজ ভ্যাট, শালুক ফুলের বীজ শালুক এবং পদ্মফুলের বীজ পদ্মখোচা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই এই সমস্ত পদ্মখোচা এবং ভ্যাটের শহর এলাকায় খুব বেশী চাহিদা থাকায় সে বিল-জলাশয় থেকে তা সংগ্রহ করে। তারপর বোনারপাড়ার তেলিয়া ১৩ মাইল পথ পেরিয়ে ট্রেনে গাইবান্ধা শহরে এসে তা বিক্রি করে। এখন পৌর পার্ক এলাকার গেটে আনন্দকে প্রতিনিয়ত ভ্যাট বিক্রি করতে দেখা যায়। প্রতিটি ভ্যাট ৫ থেকে ৭ টাকা দরে বিক্রি হয়। এছাড়া পদ্মখোচা বিক্রি হয় ৮ থেকে ১০ টাকা। তদুপরি বর্ষা মৌসুমে শাপলা ফুল, শালুক ফুল এবং পদ্মফুল নিয়ে এসেও সে শহরে বিক্রি করে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।