সেবা ডেস্ক: একই বিদ্যালয়ের একই শ্রেণিতে পড়ার সুবাদে একে অপরের হয়ে ওঠেন ঘনিষ্ট বান্ধবী। এর সূত্র ধরে এক বান্ধবী তার বড় ভাইকে দিয়ে বান্ধবীকে বিয়ে করিয়ে নেন। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে ভাইয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসা যাওয়া ছিল অপর বান্ধবীর। আর এই সুযোগটি কাজে লাগালেন বড় ভাইয়ের লম্পট শ্বশুর। মেয়ের ননদের সম্ভ্রম লুটে নিয়ে সমাজে কঠিন বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছেন। সেই ননদ এখন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলার পাইথল ইউপির গোয়ালবর গ্রামে।
মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে সেই লম্পট আতাউর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার আতাউর রহমান লালমনিরহাট সদরের কিছামত হারাটি গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে। তিনি গফরগাঁওয়ের পাগলার গোয়ালবর গ্রামের রুবেলের মুরগির খামারে চাকরি করেন এবং খামারের পাশেই পরিবার নিয়ে থাকেন।
উপজেলার গোয়ালবর গ্রামের ওই ছাত্রী স্থানীয় এক মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে। অভিযুক্ত আতাউর রহমানের মেয়েও একই প্রতিষ্ঠানে একই শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। সেই সূত্রে দুজনের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। পরে আতাউর রহমানের মেয়ের বিয়ে হয় নির্যাতিতার বড় ভাইয়ের সঙ্গে। আত্মীয়তার সুবাদে নিপীড়নের শিকার মেয়েটি আতাউরের বাড়িতে বেড়াতে যেতো। গত ২৮ মে মেয়েটি সেখানে বেড়াতে গেলে রাত ৯টার দিকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে আতাউর রহমান তার সম্ভ্রম কেড়ে নেন। এরপর তাকে হুমকি দেন এ ঘটনা কাউকে জানালে ক্ষতি হবে।
পরে মেয়েটি ভয়ে এ কথা কাউকে জানায়নি। এরপর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পরলে পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন হলে পরিবারের লোকজন দিশাহারা হয়ে পড়েন এবং চাপ প্রয়োগ করে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারেন। পরে ডাক্তার দেখিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে পাগলা থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত আতাউর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেল হাজতে প্রেরণ করে।
পাগলা থানার ওসি (তদন্ত) ফাইজুর রহমান বলেন, ফোন পেয়ে পুলিশ মেয়েটির পরিবারকে থানায় আনে। মেয়েটি জানায় যে তার ভাবির বাবা তাকে ধর্ষণ করেছে। বর্তমানে সে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় রাত দেড়টার দিকে মেয়েটির বাবা এই থানায় বেয়াই আতাউর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন। এরপরই আতাউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পাগলা থানার ওসি শাহিনুজ্জামান খান বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর হওয়ায় অভিযোগ পাওয়া মাত্র মামলা রেকর্ড করে আসামি গ্রেফতার করেছি। আসামির বাড়ি যেহেতু লালমনিরহাট দেরি হলে পালিয়ে যেত।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।