
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার চিকনী গ্রামের এমদাদুল হক আকন্দ জমি দখলের অপচেষ্টায় তার ২য় স্ত্রী মমিনা বেগমকে হত্যা করে।
এই হত্যার দায় এড়াতে চিকনী ও চাঁদকরিম গ্রামের প্রতিপক্ষ ২১ জনের নামে সে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে। এই মামলা দায়েরের ফলে অসহায় কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী আসামিরা পরিবার-পরিজনসহ বাড়ি ঘর ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আসামি হারুন মিয়া আকন্দের স্ত্রী সম্পা বেগম, আব্দুল বারী আকন্দের ছেলে মুরাদ, আব্দুল হাই মিয়ার মেয়ে উম্মে হাবিবা সিঁথি পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসন ও গোয়েন্দা বিভাগের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনসহ এর প্রতিকার এবং ন্যায় বিচার দাবি করে।
মামলার অন্যতম আসামি চাঁদকরিম গ্রামের হারুন মিয়া আকন্দের স্ত্রী সম্পা বেগম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উলেখ করেন একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল বারি আকন্দ (সাদা), আজহার আলীর সন্তানরা নুরুন্নবীর মৃত্যু হলে তাদের ভোগ দখলীয় ২১ শতক জমি গত ১ বছর আগে পাশর্^বর্তী চিকনী গ্রামের মুছা আকন্দের নিকট কবলা মূলে বিক্রি করে তাদেরকে দখলসত্ব বুঝিয়ে দেয়। জমি বিক্রির পর বারি আকন্দ ও তার স্ত্রী মিনারা বেগম ২০১৮ সালে পবিত্র হজ¦ পালন করে।
উক্ত আবাদি জমি ক্রয় করার পর থেকে মুছা আলী আকন্দ তার ছেলে আব্দুস সালাম ভোগ দখল করে আসছে। ওই জমি দখলের জন্য এমদাদুল হক একাধিকবার চেষ্টা চালায় এবং নানাভাবে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে চলতি বছরের জুন মাসের ১৬ তারিখে লাঠিসোটাসহ সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে ওই জমিতে অবৈধভাবে ঘর তোলে এবং বসতবাড়িতে ভাংচুর চালায়। ফলে এব্যাপারে মুছা আলী আকন্দ ইতোপূর্বে সাদুল্যাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করতে বাধ্য হয়।
এতে জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে একইদিন রাত দেড়টায় এমদাদুল হক আকন্দ উল্টো নিজে তার বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী মমিনা বেগমকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর প্রতিপক্ষের উপর দায়ভার চাপিয়ে দেয়। পরে সে সাদুল্যাপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে।
অথচ এতোগুলো লোকের সমন্বয়ে একটি বাড়িতে হত্যাকাণ্ডটি রাতের বেলা সংঘটিত হলেও পাশ্ববর্তী লোকজন বা গ্রামবাসী কেউই বিষয়টি জানেন না। তদুপরি রাতেই স্ত্রীর লাশটি মর্গ থেকে নিয়ে নিজ বাড়ি চিকনী গ্রামে দাফন সম্পন্ন না করে শ্বশুর বাড়ির বনগ্রামের কাজী বাড়ি সন্তোলা গ্রামে তড়িঘড়ি করে দাফন করে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।