রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বগুড়ার ধুনট উপজেলা যুবলীগের সদস্য আব্দুস সবুর (৩৫) নামে এক পল্লী চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। হত্যাকান্ডের ১১ দিন অতিবাহিত হলেও এই মামলার ১৪ জন আসামীর মধ্যে একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে নিহত যুবলীগ নেতার স্বজনদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আব্দুস সবুর পেশায় গবাদিপশুর পল্লী চিকিৎসক। নিহত সবুর উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম ফকিরের ছেলে। তার সাথে প্রতিবেশী স্কুলশিক্ষক নুরুল ইসলাম ফকির ও তার ভাতিজা নিমগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানের জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
গত ২০ নভেম্বর (বুধবার) বিকেল ২টার দিকে আব্দুস সবুর পেশাগত কারনে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। তার বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দুরে রাস্তায় পৌছলে ঘাতকরা পথরোধ করে দেশীয় তৈরী অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সবুরকে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতরা পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত আব্দুস সবুরের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বাদী হয়ে ২২ নভেম্বর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় উপজেলার ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম ফকির ও তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন এবং ভাতিজা বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা কামরুল হাসানসহ ১৪জনকে আসামী করা হয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।