সেবা ডেস্ক: এ বছরের বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তায় ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থা হাতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে ২টি সেক্টরে ভাগ করে প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও বোট পেট্রোলিংয়ের পাশাপাশি আকাশ থেকে হেলিকপ্টার এবং ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারী থাকবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ইজতেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোশাকধারী র্যাব সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেও সতর্ক থাকবেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, ইজতেমাতে ২৭টি দেশের বিদেশি নাগরিকসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লির জমায়েত হবে। আমরা এরইমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারীর কাজ শুরু করেছি। দুই ধাপে ইজতেমার ময়দানে তিন দিন করে আমাদের ডিপ্লয়মেন্ট থাকবে।
‘গাড়ি, মোটরসাইকেল পেট্রোলিংয়ের পাশাপাশি তুরাগ নদীতে স্পিডবোটের মাধ্যমে বোট পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, আকাশপথে দুইটি হেলিকপ্টারের পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারী রাখা হবে।’
তিনি বলেন, র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সুইপিং টিম এবং ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। যে কোনো আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের ফোর্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত।
কোথাও ঝুঁকি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ইজতেমার দুই পক্ষের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক রেখে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে সতর্ক রয়েছি।
এছাড়া বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মনিটরিং করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি ইজতেমার ময়দানে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি এবং ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য প্রাক গোয়েন্দা নজরদারী, ইজতেমার সময় ফুল ডেপ্লয়মেন্ট এবং শেষেও মুসল্লিরা স্থান ত্যাগ পর্যন্ত আমাদের ‘কভার্ড অ্যান্ড ওভার্ড’ ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
তিনি বলেন, পুরো ইজতেমা ময়দান সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং এবং রেকর্ডিং করা হবে। ইজতেমার বাইরের সড়কে ৮টি পোস্ট স্থাপন করে ইজতেমায় আগত মুসল্লি এবং যানবাহন তল্লাশি করা হবে।
তিনি আরো বলেন, মুসল্লিদের সুবিধার্থে মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত দুইটি বাস সার্ভিস থাকবে র্যাবের। ইজতেমা মাঠে ২ জন চিকিৎসকসহ চিকিৎসাকেন্দ্র থাকবে। ইজতেমার মাঠে ২০টি প্রবেশ পথে আর্চওয়ের মাধ্যমে প্রত্যেককে তল্লাশি করা হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।