
শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত এলাকা থেকে ৬ দিনে ৩ বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় বিএসএফ। গত ৫দিন পর ১৩ মার্চ (শুক্রবার) আবারোও ছাটকড়াই বাড়ি সীমান্ত থেকে ইসমাইল হোসেন কালু (৩২) নামের এক গরু ব্যবসায়ীকে ১০৫৬ মেইন পিলার সীমান্তের অভ্যন্তর থেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সন্ধার দিকে বাংলাদেশি একদল গরু ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক মেইন পিলার নং ১০৫৬ এর কাছে ছাটকরাইবাড়ি সীমান্ত দিয়ে কাটাতারের বেড়া উপর দিয়ে আড়কির মাধ্যমে ভারত থেকে গরু আনতে যায়। এসময় ভারতের গুটলি গাঁও ক্যাম্পের বিএসএফ টহলরত সদস্য তাদেরকে ধাওয়া করে। একপর্যায় বিএসএফ সদস্যরা কাটাতারের বেড়া পার হয়ে নোম্যান্সলেন্ড থেকে কালু মিয়াকে টেনে হিচরে ধরে নিয়ে যায়। বিএসএফ সদস্যরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানা গেছে। ইসমাইল হোসেন কালুর বাড়ি উত্তর কাউনিয়ারচর গ্রামের বেলাল হোসেন এর পুত্র।
অপর দিকে গত ৬ মার্চ শুক্রবার বেহুলার চর সীমান্ত থেকে আজাহার (৪২) গরু ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। বেহুলারচর সীমান্ত ১০৬১ মেইন পিলার দিয়ে গরু পাচার করার সময় ঝাউডাঙ্গা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। সে বেহুলার চর গ্রামের নড্ডু শেখের ছেলে।
৭ মার্চ শনিবার ছাটকড়াইবাড়ি সীমান্ত থেকে নয়ন মিয়া (২৫) নামের আরেক গরু ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় বিএসএফ। সে আন্তর্জাতিক ১০৫৬ নং মেইন পিলার দিয়ে গরু পাচার করার সময় ভারতের দ্বীপচর ক্যাম্পের বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে যায়। সে ছাটকড়াই বাড়ি গ্রামের সোলায়মানের ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
এ প্রসঙ্গে জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লে: কর্নেল এসএম আজাদ এ সকল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তে থাকা আমাদের টহলদল ওই সীমান্তে উপস্থিত হয়। তারা ভারতের বিএসএফ ক্যাম্পে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
