
কাজিপুর প্রতিনিধি: দীর্ঘদিনের চালিয়ে আসা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা করতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী হাটের ১৩ জন ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার সকালে সোনামুখী ইউনিয়নের পাঁচগাছি গ্রামের বাড়িতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্যে তারা কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উচ্ছেদ অভিযানকে অবৈধ বলে দাবী করে তা বন্ধের জন্য আহবান জানিয়েছেন।
দোকান মালিকের পক্ষে আবু ওবায়দুর রহমান লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, কৃষ্ণগোবিন্দপুর মৌজার সোনামুখী বাজারে তারা কবলা দলিল মূলে তিনযুগ পূর্ব থেকে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। ওই জমির ডিএস খতিয়ান নম্বর ৫৭৬ এর ২১৪৮ দাগে ২০ শতাংশ জমি পৃথকভাবে ১৯৮৬ সালে ১০ শতাংশ ও ১৯৯১ সালে ১০ শতাংশ যথাক্রমে দুই মালিক শ্রীমতি কান্তি রাণী, শ্রী সত্যেন্দ্রনাথ সাহার নিকট থেকে ক্রয় করেন। বিক্রেতাদের নামে ওই জমি ডিএস ও এসএ রেকর্ডেও দোকানঘর হিসাবে নথিভুক্ত হয়।
জমি ক্রয়ের পরে আরএস খতিয়ান হলে সেখানে ওই জমি ভুলবশত সরকারি খাস খতিয়ানে চলে যায়। বিষয়টি জানার পর ওই ব্যবসায়ীগণ গত ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর খাস খতিয়ান থেকে বের হয়ে আসার জন্য সিরাজগঞ্জ দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করেন যা অদ্যাবধি চলমান রয়েছে।
সম্প্রতি কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাটের সম্পত্তি উদ্ধারে গত ২১ মার্চ ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে দেন। এরই মধ্যে ব্যবসায়ীরা আদালতের গেলে দুই দফা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কারণ দর্শানোর নোর্টিশ প্রদান করেন। ব্যবসায়ীরা এমতাবস্থায় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ‘ জমি ক্রয়ের জন্যে ধারাবাহিক মালিকানা সংক্রান্ত দলিল তাদের নেই। তাছাড়া ওই ব্যবসায়ীদের দাবীকৃত দাগের জমিও এটা নয়। তারা অবৈধভাবে ওই জমি দখলে রেখেছেন। আরএস রেকর্ড অনুযায়ী এটা সরকারি সম্পত্তি। হাটবাজার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সেটা উদ্ধার করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ওই ব্যবসায়ীদের জন্যে পুরো হাটের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তারা মামলায় জিতে গেলে ওই জমি তাদের ফিরিয়ে দেয়া হবে।’
