বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীনতা সংগ্রামের মহাকাব্য: কৃষিমন্ত্রী

S M Ashraful Azom
0
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীনতা সংগ্রামের মহাকাব্য কৃষিমন্ত্রী
সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহাকাব্য হলো বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ১৮ মিনিটের ভাষণ। এই অনন্য ভাষণের মাধ্যমে তিনি  সাত কোটি বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। নিরস্ত্র বাঙালিকে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করেছিলেন, জীবনদানের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। ঐতিহাসিক ০৭ মার্চ উপলক্ষে আজ শনিবার টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণি অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  তিনি  বলেন,  বঙ্গবন্ধুর ০৭ মার্চের ভাষণের মধ্যেই স্বাধীনতার ঘোষণা নিহিত ছিল। আমাদের ইতিহাসে চিরকাল এটি উজ্জ্বল, চিরভাস্বর এবং হিরন্ময় হয়ে থাকবে।

উপস্থিত তরুন ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনেক মিথ্যাচার হয়েছে।মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস তোমাদের জানতে হবে। দেশটিকে ভালবাসতে শিখতে হবে। সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশটিকে স্বাধীন করে আমরা কেমন লাভবান হয়েছি তা তোমাদের জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম’  আহ্বানের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সে ধারায় অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে  সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তাঁর নেতৃত্বে আমরা তোমাদের জন্য ক্ষেত্র তৈরি করেছি। তোমরাই এদেশটিকে গর্বের, অহংকারের দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাংসদ মোঃ ছানোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, সাবেক জেলা কমান্ডার মোঃ ফজলুল হক বীর প্রতীক, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাস প্রমুখ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ১৯৪৬ সালে মুসলীম লীগকে ভোট দিয়ে পাকিস্তান বানিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, চাকরিসহ সবক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শোষণ ও নির্যাতন শুরু করেছিল। পূর্ব পাকিস্তানের  সোনালি পাট ও চা রপ্তানির মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সবটাই পাকিস্তানের উন্নয়নে খরচ করা হত। এদেশের  অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে করাচি, ইসলামাবাদ গড়ে তোলা হয়েছিল, পাকিস্তানের মরুভূমিকে উদ্যানে পরিণত করেছিল আর বাংলাদেশে আশ্বিন-কার্তিক মাসে অভাব লেগে্ই থাকত।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top