
রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া দর্জি ওয়াদুদ আলীর খাবারের ব্যবস্থা করে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা। সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ওয়াদুদ আলীর হাতে খাবার তুলে দেন ইউএনও।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজের ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান সাজু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আলিম, উপজেলা উপ-সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রোজিনা আকতার সুমি ও ধুনট প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল আলম প্রমূখ।
করোনার প্রভাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে লকডাউন করা না হলেও ২৬ মার্চ থেকে কার্যত পুরো শহর লকডাউন হয়ে আছে। এ সময়ের মধ্যে ফার্মেসি আর নিত্য পণ্যর দোকান ছাড়া সব কিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মানুষকে ঘরে রাখতে চলছে নানা কার্যক্রম। আর এই স্বেচ্ছা বন্দিতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। তাদেরই একজন ওয়াদুদ আলী।
ওয়াদুদ আলী পেশায় দর্জি। প্রতিদিন ফুটপাতে বসেন। তৈরী করেন নি¤œ আয়ের মানুষের পোশাক। সেই আয় দিয়ে চলে তাঁর জীবিকা। কিন্ত করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফুটপাতে বসেও মিলছে না কাজ। ঘুরছে না তার সেলাই মেশিনের চাকা।
ওয়াদুদ আলীর এমন দূর্বিষহ জীবনের চিত্র তুলে ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সংবাদের প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ করে ওয়াদুদ আলীকে সরকারি সহায়তা প্রদান করেন ইউএনও। খাবারের তালিকায় আছে ৮ কেজি চাল, ৩কেজি আলু, ১ কেজি মুসরের ডাল, ১ কেজি লবণ, ১ লিটার সয়াবিন তেল। একই সাথে তাকে ১কেজি বিøচিং পাউডার, ১টি হাত ধোয়ার সাবান ও ১টি মাক্স দেওয়া হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমি কর্মহীন দরিদ্র ব্যক্তিদের ঘরে ঘরে গিয়ে খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দিচ্ছি। যাতে করে কাউকে ঘর থেকে বের হতে না হয়।
