স্বপ্ন যখন সত্যি হয়, এর চেয়ে আনন্দ আর কি হয়: শীর্ষেন্দু

S M Ashraful Azom
0
স্বপ্ন যখন সত্যি হয়, এর চেয়ে আনন্দ আর কি হয় শীর্ষেন্দু
বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সেবা ডেস্ক: পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য গত ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছিল পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শীর্ষেন্দু বিশ্বাস। জবাবে সেতু নির্মাণ করা হবে বলে শীর্ষেন্দুকে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পটি গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এতে আনন্দে আত্মহারা বর্তমানে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু।

‘আজ আমি আনন্দিত। আমার প্রত্যশা ছিল পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে সেতু নির্মাণ হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দুঃখ লাঘব হবে। সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবে। আজ আনন্দের দিনে একটাই চাওয়া, স্বপ্নটা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয়। স্বপ্ন যখন সত্যি হয়, এর চেয়ে আনন্দ আর কি হয়’,  বলেছে ছাত্রটি। শীর্ষেন্দুর মা শীলা রাণী সন্নামত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাঁর প্রতি আমার হাজার কোটি প্রণাম জানাই।’

জানা গেছে, প্রকল্পটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বা সেতু বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৪২ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

পটুয়াখালী জেলার কচুয়া-বেতালী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালাইয়া সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৪৪ কিলোমিটার। সড়কের ১৭তম কিলোমিটারে পায়রাকুঞ্জ নামক স্থানে পায়রা নদীর ওপর এক হাজার ৬৯০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে পটুয়াখালী সদর এবং ঢাকার সরাসরি, নিরবচ্ছিন্ন এবং ব্যয়সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা প্রকল্পটির উদ্দেশ্য। বর্তমানে পায়রাকুঞ্জে ফেরীর মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে যানবাহন চলাচল অব্যাহত আছে। প্রস্তাবিত সেতুর অবস্থানে বর্ষায় নদীর গভীরতা ২০ মিটার এবং শীতকালে ১২ দশমিক ৫০ মিটার।

এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৬০০ মিটার সংযোগ সড়ক, ভায়াডাক্টসহ এক হাজার ৬৯০ মিটার সেতু, এক হাজার মিটার গাইড বাঁধ নির্মাণ, আট দশমিক ছয় একর ভূমি অধিগ্রহণ, নিরাপত্তাসেবা, বিস্তারিত নকশা পরামর্শকসেবা, নির্মাণ তদারকি পরামর্শকসেবা, টোল প্লাজা নির্মাণ, ওজন স্টেশন স্থাপন, টোল মনিটরিং ভবন, পুলিশ স্টেশন ও প্রকল্পের জনবলের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, নদীর তীরে প্রতিরক্ষামূলক কাজ, অ্যাপ্রোচ সড়ক ইত্যাদি।

পটুয়াখালী জজ কোর্টের এপিপি মো. মুশফিকুর রহমান পলক বলেন, ‘আমাকে প্রতিদিন এই রুট পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হয়। বর্ষার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা চলাচল করি। শিক্ষার্থী শীর্ষেন্দুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নদীতে সেতু নির্মাণের বিল একনেক সভায় অনুমোদন করেছেন। তাতে আমরা খুশি।’

মির্জাগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘আমরা এই নদী পাড়ি দিয়ে আসা-যাওয়া করি। এখানে ফেরি ও ট্রলারের কারণে অনেক কষ্ট হয়। এখানে সেতুটি নির্মাণ হলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হবে। ভোগান্তি কমবে।’

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top