সেবা ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করেছে প্রাণঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন ও সোস্যাল ডিসটেন্স। বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা। ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ। থমকে গেছে অর্থনীতির চাকা।
বিশ্বের মহাপরাক্রমশালী দেশগুলোও করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে মাথা নুঁইয়ে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী যখন কোভিড-১৯ নিয়ে দিশেহারা এ সময় চীনের দিকে আবারো আঙুল তুললো যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার হোয়াইট হাউজে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী করোনার বিস্তারে চীনকে দায়ী করার পাশাপাশি এ বিষয়ে হুঁশিয়ারিও দিলেন।
প্রাণঘাতী করোনা মোকাবিলায় বেইজিংয়ের কৌশলের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, চীনে করোনা মহামারি হওয়ার আগেই থেমে যেতে পারতো। কিন্তু সেখানে তা হয়নি। এখন পুরো বিশ্ব ভুগছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের অভিযোগ যদি ভুল হয় তবে তো ভুলই। কিন্তু করোনাভাইরাসের উৎপত্তি ও বিস্তারে যদি তারা (চীন) দায়ী থাকে তবে নিশ্চিতভাবেই তাদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।
তবে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে এ ব্যাপারে কিছু স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞরা যেখানে সকলের সমন্বিত সহযোগিতা দাবি করছেন সেখানে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের এই দোষারোপের খেলা পরিস্থিতিকে যেন আরো ঘোলাটেই করছে।
কয়েকদিন আগেই উহানের ল্যাবে করোনার উৎপত্তি হয়েছে বলে দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা তদন্তও চালাচ্ছে। তবে চীনের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ শুরুতেই নাকচ করা হয়েছে।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে চীনের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংস্থাটিকে অর্থায়ন বন্ধেরও ঘোষণা দেন।
এদিকে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভে কাঁপছে যুক্তরাষ্ট্র। লকডাউন তুলে নেয়ার দাবিতে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দিয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে এখন পর্যন্ত সবার উপরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় ৩৯ হাজার ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৯১৩ জন।