আদালতের রায় উপেক্ষা করে রৌমারীতে পুকুর ভরাটে বাধা

S M Ashraful Azom
আদালতের রায় উপেক্ষা করে রৌমারীতে পুকুর ভরাটে বাধা
শফিকুল ইসলাম: আদালতে রায় উপক্ষো করে পুকুরে মাটি ভরাটে বাধা দিলেন বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবীর হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের টাপুরচর এলাকায়। এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ সত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের টাপুরচর গ্রামের সাবেদ আলীর ছেলে হাউস উদ্দিন, কালু শেখ, হাবিবুর রহমান ও বাবর আলী, পুড়ারচর মৌজাধীন এস.এ ২০ নং খতিয়ানভুক্ত ২৭১৭ দাগে ৭৬ শতাংশ জমি রেকর্ডীয় অনুযায়ী মালিক ছিলেন। পরবর্তীতে ৭ ডিসেম্বর ১৯৮১ সালে গোলজার হোসেন নামের এক ব্যক্তি ৫৪৪৬ নং দাগে রেজিট্রিকৃত কবলা দলিল মুলে বাবর আলীর কাছ থেকে ১৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। তৎপর ৫ জানুয়ারী ১৯৮১ সালে ১১২ নং রেজিস্ট্রিকৃত কবলা দলিল মুলে আজিজুর রহমান নালিশী দাগের ৩৮ শতাংশ জমি তারই বাবা হাবিবুর রহমানের কাছে বিক্রয় করেন। পরে ৭ডিসেম্বর ১৯৮১ সালে উক্ত ৫৪৪৫ দাগের আরো ৩৮ শতাংশ জমি গোলজারের কাছে বিক্রয় করেন এবং দখল বুঝিয়ে দেন। রেকর্ডীয় মালিক হাউস উদ্দিনের মৃত্যু হওয়ার পর ত্যাক্তাংশের জমির ওয়ারিশ সুত্রে তার ছেলে গোলজার হোসেন প্রাপ্ত মালিক হন।

গোলজার হোসেন ৫৪৪৬ নং রেজিট্রিকৃত কবলা একই দাগে পৃথক দলিল মুলে ও ওয়ারিশ সুত্রে ৭৬ শতাংশ জমির মালিক হইয়া ভোগ করা অবস্থায় আরএস রেকর্ড শুরু হইলে আরএস ৫০৬ ও ২০৯৩ নং খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত ৫৮৫৭ দাগে ২৩, ৫৮৬৩ দাগে ১০, ৫৮৬৪ দাগে ৮ ও ৫৮৬৫ দাগে ৩৫ শতাংশ জমি নালিশী ও বিননালিশী জমির দলিল মোতাবেক মোট ১৫৬ শতাংশ জমি নামজারী করিয়া পৃথক খতিয়ান ও হোল্ডিং খুলিয়া সরকারি করাদি পরিশোধক্রমে ডিসিআর ও দাখিলা প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে গোলজার হোসেন ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে ২৫৯৩ নং রেজিট্্িরকৃত কবলা দলিলমুলে উক্ত নালিশী দাগের ৫৫ শতাংশ জমি তার ছেলে চাঁন মিয়ার কাছে বিক্রয় করেন। তিনি উক্ত দলিল মোতাবেক সহকারি কমিশনার (ভুমি) বরাবর নামজারীর আবেদন করেন। যার কেস নম্বর ২৬১/২০১৯-২০। এই কেস মোতাবেক নামজারী করিয়া নিজ নামে হোল্ডিং খুলিয়া সরকারি করাদি পরিশোধ করিয়া দাখিলা ও ডিসিআর প্রাপ্ত হয়।

ভুক্তভোগী চাঁন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, এই জমি আমার ভোগ দখল অবস্থায় বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসন ও তসিলদার রজব আলী একটি কুচক্রি মহলের ইঙ্গিতে ওই জমি বেদখল করা ও ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। পরে আমি কোন উপায় না পেয়ে এলাকার গুনিজনদের পরামর্শে কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ আদালতে উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করি। যার মোকদ্দমা নং ১৭/২০১৬ ইং। এরই প্রেক্ষিতে ২৩ অক্টোবর ২০১৭ সালে বিজ্ঞ আদালত আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, ওই জমিটি সরকারি খাস খতিয়ানে রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে পুকুরটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রতিবছর লিজ দেওয়া হয়। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে জমির কাগজপত্র নিয়ে আগামী ৪ তারিখে আমার কার্য্যালয়ে আসতে বলেছি এবং কাগজপত্র দেখে সমাধানের চেষ্টা করবো।


ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top