সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রত্যেকে যার যার এলাকা সুরক্ষিত করেন। হঠাৎ করে বাইরে থেকে আপনার এলাকায় যেতে দেবেন না। কেউ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা অকারণে ছোটাছুটি করবেন না। অন্তত এই কয়েকটি দিন আপনি আপনার নিজের এলাকাকে সুরক্ষিত করুন।
রোববার (১২ এপ্রিল) সকালে গণভবন থেকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করে। এর আগে দুই দফায় ২১টি জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সবাই নিজেরা সবাই সুরক্ষিত থাকেন, সুস্থ থাকেন ভাল থাকেন, সেভাবে নিজেরা নিজেদেরকে সুরক্ষিত করেন। যে নির্দেশনাগুলো আমরা দিয়েছি আর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেওয়া হচ্ছে বা প্রতিনিয়ত রেডিও-টেলিভিশন বা সোশ্যাল মিডিয়াতে যেগুলো নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে দয়া করে সেগুলো একটু মেনে চলুন। এটি মেনে চললে নিজে যেমন ভালো থাকবেন, অপরকে আপনি সুরক্ষিত করবেন। আপনার নিজের দায়িত্ব নিজের উপর যেমন আছে আবার অন্যের জন্যও সে দায়িত্ব আছে। সে কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেটি আপনার অধিকার, সেটি অপরের যেমন দায়িত্বভার, আপনার দায়িত্ব যেটি অন্যের অধিকার, কাজেই সকলের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। কিন্তু আপনার নিজেই সেটা করতে পারেন। আর প্রত্যেকে যার যার এলাকা সুরক্ষিত করেন। হঠাৎ করে বাইরে থেকে যেতে দেবেন না। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি, অনেক জায়গায় এই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছে কারা, বাইরে থেকে যারা আসছে। এক জায়গায় চলে যাচ্ছে সেখানেই মানুষ সংক্রামিত হচ্ছে। এইজন্য অন্তত এই কয়েকটা দিন আপনি আপনার নিজের এলাকাকে সুরক্ষিত করেন। কেউ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা অকারণে ছুটাছুটি করবেন না। কেউ শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাবেন পরে গেলেও পারেন। কেউ আত্মীয় বাড়িতে যাবেন, পরে গেলেও পারেন। এগুলো অন্তত বন্ধ রাখেন আপাতত। বন্ধ রেখে অন্তত আমরা এ অবস্থা থেকে যেন উত্তরণ ঘটাতে পারি সে জন্য সহযোগিতা করেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে, আমরা বিজয়ী জাতি। কাজেই করোনাভাইরাস থেকেও নিশ্চয়ই আমরা দেশকে সুরক্ষিত রাখতে পারব, মানুষকে সুরক্ষিত করতে পারব। এই অবস্থাও আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’
গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। এ ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।