স্ত্রী খুন হলে প্রথম সন্দেহটা স্বামীর ওপরেই পড়ে। নয়নও তার আওতা থেকে বাদ পড়ল না। তবে বাড়িভর্তি লোক পালিয়ে যেতে দেখেছে আততায়ীকে। খুনি রাতের আঁধারে এলেও মিশুর প্রাণবিদারী চিৎকারের কারণে বাড়ির সব আলো জ্বলে ওঠে। খুনি কাজ শেষ করলেও ধরা পড়তে পড়তে কোনমতে পালিয়ে যেতে পারল।
এমনকি নয়নও একঝলক দেখেছে খুনিকে।
গোয়েন্দা দপ্তরে ডাকা হলো স্কেচশিল্পীকে।
আলাদা আলাদাভাবে নয়নের মা, বাবা, বোন, কেয়ারটেকার, কুক সবাই স্কেচশিল্পীর সহায়তায় খুনির চেহারার স্কেচ আকঁল।
স্কেচ আঁকতে সহায়তা করল নয়নও।
গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মকর্তারা অবাক হয়ে দেখল, সবাই খুনির স্কেচে নয়নের চেহারা এঁকেছে।
এমনকি নয়নও!
আত্মসমর্পণ করল নয়ন।
স্বীকারোক্তিতে জানাল, খুনি শারীরিকভাবে তার স্ত্রীকে হত্যা করলেও মানসিকভাবে অনেক আগেই মিশুকে মেরে ফেলেছিল সে!