
কাজিপুর প্রতিনিধি: অতিরিক্ত এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে এক খামারীর খামারে মড়ক লেগেছে। এক হাজার মুরগীর বাচ্চার মধ্যে এরই মধ্যে একশ মারা গেছে।
বাকিগুলোর অবস্থাও ভালো না। এতে করে ওই খামারী অর্ধলক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। উপজেলার বেশ কটি খামারে এই অবস্থা দেখা দিয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলার কুনকুনিয়া গ্রামের খামারী জহুরুল ইসলামের খামারে গিয়ে দেখা গেছে ১৬ দিন বয়সী প্রায় একশ মুরগীর বাচ্চা মরে পড়ে আছে। খামারের জীবিত বাচ্চাগুলোর অবস্থাও ভালো না।
জহুরুল ইসলাম জানান, ‘উপজেলা সদরের কাজিপুর পোলট্রি নামক দোকান থেকে ওষুধ কিনে তাদেরই পরামর্শে মুরগীর বাচ্চাগুলোকে খাওয়ানো হয়েছে।’ দুপুরে তিনি খামারের মরা মুরগীর বাচ্চা নিয়ে যান উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে।
সেখানে ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান মরা বাচ্চাগুলো কেটে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। তিনি জানান, ‘বাচ্চাগুলোকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত এ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোয় কলিজায় রোগ সংক্রমিত হয়েছে। নিয়ম না মেনে অনিবন্ধিত দোকান থেকে ওষুধ কিনে তাদেরই পরামর্শে এসব প্রয়োগের ফলে এমনটি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘এসময় আবহাওয়া প্রচন্ড গরম, তদুপরি অপরিকল্পিত এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ ব্যবহার করলে যেকোন খামারীই এই ঝুঁিকর মধ্যে পড়বে।