
সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত স্বাস্থ্য বিধিমালা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার শর্ত পূরন করায় টাঙ্গাইলে মার্কেট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মার্কেট ও শপিংমলগুলো।
আজ রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলগুলোর স্বাস্থ্যবিধিমালা সরেজমিনে পরির্দশন শেষে এ নির্দেশনা দেয়।
সরেজমিন বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মার্কেট ও শপিংমলের প্রবেশ পথে স্থাপন করা হয়েছে জীবানুনাশক ট্যানেল। দোকানে প্রবেশের আগে প্রতিটি ক্রেতার শরীরে ছিটানো হচ্ছে জীবানুনাশক স্প্রে। প্রতিটি ক্রেতা-বিক্রেতার মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভ্স পরা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারী নির্দেশনায় গত ১০ মে থেকে দোকান, মার্কেট ও শপিংমল খুলে ব্যবসা শুরু করেন টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীরা। খোলার পর থেকেই দোকান, মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পরা ভীড় পরে যায়। এতে বিঘ্নিত হয় স্বাস্থ্যবিধিমালা মেনে চলার বিষয়। পরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক গত ১৩ মে বিকেলে এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরদিন ১৪ মে থেকে দোকান, মার্কেট ও শপিংমলগুলো অর্নিদ্দিষ্ঠকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেন। এর প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেন এবং স্বাস্থ্যবিধিমালা মেনে দোকান, মার্কেট ও শপিংমলগুলো খুলে দেয়ার দাবী জানান জেলা প্রশাসকের কাছে। জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ীদের শতভাগ স্বাস্থ্যবিধিমালা বাস্তবায়নের শর্ত দেন। শর্ত মেনে ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে জীবানুনাশক ট্যানেল স্থাপন করেন, প্রতিটি মার্কেটের সামনে পানির বেসিন স্থাপন ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সামাজিক দুরত্বের বজায় রাখার জন্য সীমানা নির্ধার করেন। আজ রোববার দুপরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি টিম দোকান, মার্কেট ও শপিংমলগুলো পরিদর্শন করেন। পরে জেলা প্রশাসক দোকান, মার্কেট ও শপিংমলগুলো খোলার নির্দেশনা দেন।
এসময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার জানান, স্বাস্থ্যবিধিমালা মেনে চলার বিষয়টি সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হবে। যদি কেউ নিয়ম নীতি না মেনে চলে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরও পরিস্থীতি খারাপ হলে আবারো শপিংমল ও মার্কেট গুলো বন্ধ করা হবে।