মোঃ ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার , ডাংধরা ইউনিয়নের, হারুয়াবাড়ী টু বাগানবাড়ী রাস্তার মাঝে, হারুয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সামনে ভাঙ্গা জায়গা।
যার আশা আকাঙ্ক্ষায়, জনসাধারণ দিনের পর দিন প্রহর গুনছিলো। প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর মানুষের চাওয়া পাওয়া, আনাগোনার মধ্যে দিয়েই কেটে গেলো। হঠাৎ মাননীয় এমপি মহোদয়, আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ সাহেবের সু-নজরে আসায়, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে বাজেট প্রাপ্ত হয়। ২০১৩ সালে ঠিকাদার আলহাজ্ব মুমিনুল ইসলাম (লাল মিয়া) মুহুরির দায়িত্বে ব্রীজটি সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু এলাকাবাসীর ভাগ্যে দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় যে, ২০১৩ সালে ব্রীজটি সম্পন্ন করা হলে, উদ্বোধন করার দু দিন আগেই ব্রীজটি ভেঙ্গে যায়। শুরু হয় এপার ওপার ২০ টি গ্রামের প্রায় ১৫০০০ মানুষের জীবনের দূর্ভোগ। এলাকাবাসী শহিদুর রহমান মন্ডল বলেন- ব্রীজ হওয়ার পূর্বে সেখানকার আশেপাশে প্রায় ৬০থেকে ৭০ বিঘা জমিতে ইরি (বোরো) ধান চাষাবাদ হতো।যা বাংলাদেশের খাদ্যের চাহিদা পুরণের ভুমিকায় ছিল, কিন্তু ব্রীজ ভেঙ্গে পানির স্রোতের তীব্রতায় সেখানে বিশাল আকারে গর্তের সৃষ্টি হয় এবং আশেপাশের ৬০ থেকে ৭০ বিঘা জমিতে পরে শুধু বালু আর বালু। মানুষ তো পারারার হতেই পারে না, জনসাধারণের দূর্ভোগ আরও চরম আকার ধারন করে। এই ভাঙ্গা ব্রীজের আশেপাশে রয়েছে ৮ থেকে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একাধিক হাফিজিয়া মাদ্রাসা, নূরানী মাদ্রসা, মহিলা মাদ্রাসা, কওমী মাদ্রাসা সহ অনেক গুলি জামে মসজিদ। এলাকাবাসীর ৬০ থেকে ৭০ বিঘা জমি বালুর নিচে পরে থাকলেও ব্রীজটি পূণঃনির্মাণের কোন ব্যবস্থা হয় নি।
পথচারী আঃ গনি বলেন- হারুয়াবাড়ী টু বাঘারচর রাস্তা ভায়া হারুয়াবাড়ী আকন্দ পাড়া, হারুয়াবাড়ী পুর্বপাড়া, পান্তামারী, বাগানবাড়ি এর মাঝে, প্রায় জায়গায় রাস্তা ভাঙ্গা। জনপ্রতিনিধিগণ ভোটের সময় এসে এসব কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নেন, কিন্তু ভোটের পর এসব জনপ্রতিনিধির এলাকায় দেখা মেলেনা। পথচারীরা অসুবিধেয় থাকলেও চরম দুর্গতি স্কুলের শিক্ষক সহ ছাত্র /ছাত্রীদের। একটু খানি বৃষ্টি হলেই বা নদীর পানি বাড়লেই তাদের যাতায়াত বন্ধ।
তাই এলাকা বাসীর প্রত্যাশা দ্রুত যেন এই ব্রীজের সু ব্যবস্থা করা হয়। এলাকাবাসী স্বংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সহ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্তৃপক্ষের সু-নজর / হস্তক্ষেপ কামনা করেন।