
শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি খাস জমি দখল করে মাটি ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চরেরগ্রামে।
অভিযোগ ও গ্রামবাসি সুত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর আগে চরের গ্রামের ভিতরের রাস্তাটি বন্যার পানির ¯্রােতে ভেঙ্গে যায়। এতে গ্রামবাসি ও বিভিন্ন এলাকার মানুষের চলাচল একেবারে বন্ধ হয়। পরে এলাকাবাসির চলাচরের সুবিধার্থে রাস্তার পূর্ব পাশে রিকোর্ডি সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা দেওয়া হয়। সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ না হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে গভীর খাদে পরিণত হয়।
এদিকে একই গ্রামের ইব্রাহিম সরকারের ছেলে আবুল হোসেন ও তার ছেলে হাছেন আলীসহ অনেকেই দলবদ্ধ হয়ে ওই গ্রামের ভিতরের রাস্তার খাঁস জমি দখল করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ভরাট করে দখলের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এতে ওই গ্রামের আমিন উদ্দিনের ছেলে শালু মিয়া, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম, মাইনুদ্দিনের ছেলে সাইদুল্লে ও পবন আলীর ছেলে আব্দুল কাদের মাটি ভরাটে বাধা দেয়। ফলে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্রামবাসিরা এ বিয়ষ থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেন।
এঘটনায় শালু মিয়া বাদী হয়ে গত ১২ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বার্হী অফিসার শৌলমারী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
শালু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার পাশে ৩৬ শতাংস খাঁস জমি আমাদের পৈর্ত্তিক সম্পত্তি। পজেশন আমাদের। সবার সুবিধার জন্য রিকোর্ডি জমির উপর দিয়ে রাস্তা দিয়েছি। এই খাঁস জমি গ্রামের কিছু লোক উদ্দেশ্যমুলক ভাবে জোড়পূর্বক মাটি ভরাট করছে।
প্রতিপক্ষ আবুল হোসেন বলেন, ওই খাঁস জমিটি আমি বন্দোবস্ত নিয়েছি অনেক বছর আগে। তাই মাটি ভরাট করছি।
এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ভুমি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।