
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় ঈদ উৎসবের আমেজে বদলে গেছে গাইবান্ধার চিত্র। তিনদিন বন্ধ রাখার পর খুলে দেওয়া মার্কেটগুলোতে এখন কোলাহলমুখর এবং গাদাগাদি ভীড়ে কেনাকাটা চলছে।
গায়ের সাথে গা মিশিয়ে, পায়ে পা লাগিয়ে সীমাহীন গাদাগাদি ভীড়ে চলছে কেনাকাটা। এক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্বের কোন তোয়াক্কাই করছেন না ক্রেতা বা দোকানদাররা।
এমনকি শহরের কাচারী বাজার, পিকে বিশ্বাস রোড, স্টেশন রোড, ডিবি রোডসহ মার্কেটগুলোতে ঠাসাঠাসি মেঘলা আকাশ এবং ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মধ্যেই সকাল থেকেই অস্বাভাবিক ভীড় পরিলক্ষিত হয় প্রতিটি দোকান ও মার্কেটগুলোতে।
এমনকি ক্রেতারা দোকানে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় ভীড় করে দাঁড়িয়ে কেনাকাটার জন্য যেন মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে এ জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য,গাইবান্ধায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনস্বার্থে গত ১৮মে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রন ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবদুল মতিন এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে ১৮মে বিকাল ৪টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দোকানপাট ও মার্কেট সমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
এই আইন অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়। এই নির্দেশ বলে ১৮মে বিকাল ৪টা থেকে ২১ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিন জেলার সমস্ম দোকানপাট, মার্কেট বন্ধ রাখা হয়।
পরে ১৯মে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সাথে পুলিশ সুপার, গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র, গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্টিজ, জেলা দোকান মালিক সমিতি, জেলা দোকান কর্মচারি সমিতিসহ অন্যান্যদের সাথে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা করা হবে মর্মে ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ আশ্বাস প্রদান করে।
এমতাবস্থায় তাদের অনুরোধ এবং আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আবারও শুক্রবার থেকে পুনঃরায় দোকানপাট ও মার্কেট খুলে দেয়া হয়।