রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষণে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অহ্যাহত রয়েছে। পানি বৃষ্টি ফলে যমুনার নদীর চর এলাকার আউশ ধান ও পাট ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে।
রবিবার দুপুরের দিকে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারি প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, যমুনা নদীর পানি ২৪ ঘন্টায় ৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮৮সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় পনি বৃদ্ধির পরিমান বেড়ে গেছে। এতে করে যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে কুল উপচে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের অভ্যান্তরে জমির আউশ ধান ও পাট ক্ষেতে পানি প্রবেশ করছে। যমুনা নদীর পূর্বতীরে চর এলাকার ফসলি জমিতেও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাধ্য হয়ে চরের কৃষকেরা পানি মাড়িয়ে অপরিপক্ক কাঁচা পাট কাটতে শুরু করেছেন। কিন্ত আউশ ধান নিয়ে কৃষকেরা পড়েছেন মহাবিপাকে।
নিউসারিয়াকান্দি চরের কৃষক আবেদ আলী জানান, প্রায় দেড় বিঘা জমিতে পাট লাগিয়েছিলেন। শুরুতে আবহাওয়া অনেকটা ভালো ছিল। ফলে পাটের গাছগুলো হয়েছিল বেশ মোটাতাজা। কিন্ত যমুনার পানি বেড়ে পাটের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অপরিপক্ক পাট গাছে পচন ধরেছে। ফলে সোনালী ফসলখ্যাত এই পাট আর ঘরে ওঠবে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, রাক্ষুসী যমুনা নদী পাট গিলে খেল। সঙ্গে কষ্টের জমানো টাকাও গেলো। ফসল ফলানোর হাড়ভাঙা পরিশ্রমও বৃথা গেলো।
ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুশিদুল হক বলেন, যমুনা নদীর পানি বেড়ে বৈশাখী, রাধানগর, নিউসারিয়াকান্দি, শহড়াবাড়ি, পুকুরিয়া, কৈয়াগাড়ি, বরইতলী, বানিয়াজান ও শিমুলবাড়ি চরের ৫০বিঘা জমির পাট ও ১০ বিঘা জমির আউশ ধান নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে কিছু কিছু জমির পাট কাটছেন কৃষকেরা। তবে এই পাটের ফলন ভাল হবে না। কিন্ত পনি না কমলে চরের আউশ ধান ক্ষেতের ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।