রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। রোববার পর্যন্ত কমপক্ষে এক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রবিবার বেলা ৩ টার দিকে ধুনট উপজেলার সহড়াবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানির প্রবাহের রেকর্ড করেছেন। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। একদিন আগে এই পয়েন্টে পানি ১৬ দশমিক ৭৩ মিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল।
যমুনা নদীর পানি বেড়ে চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। চরে বসবাসকারী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পানিবৃদ্ধির সঙ্গে নদীতীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে প্রবল ভাঙন। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কৃষকের পাট, আউশ ধানসহ বিস্তীর্ণ ফসলের খেত। পরিস্থিতির বেশি অবনতি ঘটেছে উপজেলার বৈশাখী ও রাধানগর চরে। বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় চরাঞ্চলের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাঁরা সহায়–সম্বল, গরু-ছাগল নিয়ে পার্শ্ববর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্চয় কুমার মোহন্ত বলেন, যমুনায় পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় চরাঞ্চলবেষ্টিত গ্রাম গুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। চরাঞ্চলের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের সব প্রস্তুতি রয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের অবস্থা ভাল আছে। পুরো বাঁধা এলাকা সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।