দেশে খাদ্য মজুদ নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই: খাদ্যমন্ত্রী

S M Ashraful Azom
0
দেশে খাদ্য মজুদ নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই খাদ্যমন্ত্রী

সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে বাম্পার ফলন হওয়ায় দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই। সরকারি খাদ্যগুদামে অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি পরিমাণ খাদ্য মজুদের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ খাদ্য মজুদ ছিল, ১৭ লাখ টনের কিছু বেশি। আগামী অর্থবছরে সেটা ২০ লাখ টনের বেশি হবে বলে তিনি আশা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই খাদ্যের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন। এবার করোনা ও আম্ফানের কারণে দেশে বিশেষ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। আশা করি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর কারণে আমাদের খাদ্যসংক্রান্ত কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। বাম্পার ফলনের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এবার সাড়ে ১১ লাখ টন চাল এবং সাড়ে আট লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’ সরকারের পক্ষ থেকে বেশি পরিমাণ ধান ও চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কৃষক ধানের ভালো দাম পাচ্ছেন। লটারির মাধ্যমে ধান বিক্রির জন্য কৃষকদের বাছাই করা হলেও অনেক কৃষক সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে যাচ্ছেন না। কৃষকরা স্থানীয় বাজারেই ভালো দামে ধান বিক্রি করতে পারছেন। এর কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগের কারণে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য সহায়তা দিতে হচ্ছে সরকারকে। এ জন্য সরকারি গুদাম খালি হচ্ছে, বিপরীতে সরকার ধান বেশি কিনতে পারছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে কৃষকরা লাভও বেশি পাচ্ছেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের গুদামে প্রায় ১২ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে। চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ত্রাণ কার্যক্রমসহ অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহে আমাদের পূর্ণাঙ্গ মজুদ আছে। এরই মধ্যে নতুন ধান গুদামে ঢুকছে। সব মিলিয়ে খাদ্য পরিস্থিতিতে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। এটা আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য বিশাল স্বস্তির বিষয়।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশব্যাপী ধান ও চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিভাগওয়ারি সব জেলার ডিসি ও খাদ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। যেসব কৃষক ধান বিক্রির জন্য লটারিতে বিজয়ী হয়েছেন, তাঁদের নাম ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে টাঙিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি, যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে ধান সংগ্রহ সম্ভব হয়। এসব কাজে ন্যূনতম অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সরাসরি অফিস করা হয়নি; কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের কাজ চালিয়ে নিয়েছি। তাই খাদ্যসংশ্লিষ্ট কাজে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং তা বাস্তবায়নে তেমন সমস্যা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে এখনো বেশির ভাগ সময় বাসা থেকেই কাজ করছি আমরা।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করার কারণেই আজকে সব কিছু বন্ধ থাকার পরও আমাদের অতি প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পেরেছি। এটা প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের বাংলাদেশের বড় একটা অর্জন। আমরা কেউই জানতাম না করোনাভাইরাসের কবলে পড়তে হবে। এই বিপদের সময় ডিজিটাল কার্যক্রম আগে থেকেই শুরু না করলে কত বড় সমস্যায় পড়তে হতো, তা বলে বোঝানো যাবে না।’

ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top