
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের রৌমাীর উপজেলায় ভুয়া কাজি সাখওয়াত হোসেন লিপনের দৌরাত্য¡ থামছে না। তিনি বিভিন্ন এলাকায় গোপনে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করেই চলছেন। এতে শতাধীক বিবাহ রেজিষ্ট্রির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নকল পাইতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। এঘটনায় মুল কাজি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
২২ জুন (সোমবার) সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, সাবেক এমপি মৃত্যু গোলাম হোসেনের ছেলে সাখওয়াত হোসেন লিপন রৌমারী সদর ইউনিয়নের কাজি হিসেবে দাবী করে বিভিন্ন গ্রামে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে আসছেন। তার বাড়িতে কাজি অফিস বানিয়ে বিবাহ রেজিষ্ট্রির কার্যক্রম চালাচ্ছেন। গত ১০ ই মে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে লিটন মিয়া (৩০) কে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে একই উপজেলার রৌমারী ইউনিয়নের কোনাচি পাড়া গ্রামের হারুন উর রশিদের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২৯) সাথে জোড় পূর্বক ৮লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া বিয়ে দেন।
এঘটনায় ছেলে পক্ষ থেকে চ্যালেন্স করলে সাখওয়াত হোসেন লিপন ভুয়া কাজির গোমড় ফাঁস হয়।
এর আগেও ১৯ সালের ৩১ অক্টোবর খাঁপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের মেয়ে, ২০ সালের ৩০ এপ্রিল মধ্য ইছাকুড়ি গ্রামের আলি আকবরের ছেলে ইসরাফিল হক, গোয়ল গ্রামের আব্দুল বারেকের মেয়ে, চর চাক্তাবাড়ি গ্রামের ওমেদ আলীর মেয়ে গোয়াল গ্রামের বোল্লার মেয়ে, সুতিরপাড় গ্রামের তাহেরের মেয়েসহ শতাধীক বিবাহ রেজিষ্ট্রি করান।
এসকল পরিবারের লোকজন সাখওয়াত হোসেন লিপনের কাছে বিবাহ রেজিষ্ট্রির নকল চাইতে গেলে তাদেরকে দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করছেন।
এদিকে খাপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের মেয়ের বিবাহের রেজিষ্ট্রির নকল দিতে দেরি করায় চাপের মুখে গত ৭এপ্রিলে ২নং শৌলমারী ইউনিয়নের কাজি আব্দুল কাদেরর কাছ থেকে নকল এনে দেন। জানা গেছে নিকাহ রেজিষ্ট্রার বহি ও নকল সরকারি নিয়মনীতির বহির্ভুত ভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে।
কাজি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি গত ২০১৭ সালে আগষ্ট মাসে ৪নং রৌমারী সদর ইউনিয়নের সরকারি বিধি মোতাবেক কাজি হিসেবে দায়িত্ব পাই। সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি মোতাবেক এলাকায় সাব কাজি নিয়োগ দেওয়া নিষেধ রয়েছে। তাই আমিও কোন সাব কাজি নিয়োগ দেইনি। সাখওয়াত হোসেন লিপন নামের এক ব্যক্তি আমার অজান্তে অবৈধ ভাবে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে আসছে।
এবিষয় সাখওয়াত হোসেন লিপনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাইফুল ইসলাম কাজির সাথে আমার পারিবারিক একটা চুক্তি হয়েছে। সেই জন্য আমি বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে আসছি।
রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু বলেন, কাজি হিসেবে সাইফুল ইসলামকেই জানি। অন্য কেউ বিবাহ রেজিষ্ট্রি করলে তা অবৈধ।
এব্যাপারে উপজলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান জানান, ভুয়া কাজির বিয়ষ অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।