আসছে ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথা’

S M Ashraful Azom
0
আসছে ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথা’

সেবা ডেস্ক: বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রামের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র মতো ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথা’ নামে আরেকটি বই প্রকাশ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৮ জুলাই) জাতীয় সংসদে এই তথ্য জানান তিনি। জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হন চুন্নুর এ সংক্রান্ত একটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এই কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। চুন্নুর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়া চীন’সহ বঙ্গবন্ধুর লেখা নিয়ে প্রকাশিত বইগুলোর তথ্য তুলে ধরেন। এই বইয়ের তথ্যগুলো কীভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেছিলেন সেটা বলেন। বঙ্গবন্ধুর লেখা বা তাঁর সংশ্লিষ্ট দেশে-বিদেশের ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে তা প্রকাশের পরিকল্পনার কথাও এ সময় তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এ প্রসঙ্গে তিনি স্মৃতিকথা নিয়ে নতুন বই প্রকাশের প্রসঙ্গও তোলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথা একটা লেখা আছে। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র মতোই উনার জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে কিছু লেখা। সেই লেখাগুলো আমি প্রস্তুত করেছি। তা প্রায় তৈরি হয়ে আছে। ওটা আমরা ছাপতে দেবো। আমার ধারণা, এটা ছিল একটি রাফ কাজ। ওটার (বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথা) বিষয়ে আরও কিছু কাজ আছে বলে জানান তিনি। এসময় শেখ হাসিনা সংসদকে জানান, জাতির জনক তার জীবদ্দশায় সন্তানদের বা পরিবারের সদস্যদের কাছে কখনও জেলজীবনের দুঃখ-কষ্টের কথা বলতেন না। এড়িয়ে যেতেন। শেখ হাসিনা বলেন, কারাগারের রোজনামচা মূলত ১৯৬৬ সাল থেকে ৬৮ সাল পর্যন্ত। ৭১ সাল থেকে আমরা উনার কোনও লেখা পাইনি। কারণ একাত্তর সালে উনি কারাগারে (পাকিস্তানে)। সেখানে কীভাবে ছিলেন, কী অবস্থায় ছিলেন, আসলে তার কিছু আমরা জানি না। সামান্য একটা লাইন পাওয়া গেছে আইয়ুব খানের ডায়েরিতে, অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত এটা। সেখানে উনার সম্পর্কে কিছু কমেন্ট করা আছে। বঙ্গবন্ধুকে যখন কোর্টে নিয়ে আসা হতো, উনি আসতেন, দাঁড়াতেন, বসতে বললে বসতেন। উনি এসে দাঁড়িয়েই নাকি ‘জয় বাংলাদেশ’ বলতেন। বলতেন ‘আমাকে যা খুশি তাই করো। আমার যেটা করার আমি তা করে ফেলেছি। অর্থাৎ আমার বাংলাদেশ তো স্বাধীন হবেই’। এর বাইরে একাত্তরের কিছু আমি পাইনি। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনও আমার চেষ্টা আছে ওখান (পাকিস্তান) থেকে কোনও কিছু উদ্ধার করা যায় কিনা। আর আমি জেলখানায় ছবি আনতে গিয়েছিলাম। জেলখানা ভেঙে নতুনভাবে করা হয়েছে। ছোট্ট একখানা দেয়ালের ছবি পেয়েছি। আর কিছু পাইনি। তবে আমার চেষ্টা আমি করে যাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে ক্লাসিফাইড রেকর্ড সংগ্রহ করেছি। যেখানে বাংলাদেশের বিষয়টি রয়েছে। সাউথ এশিয়ার কিছু বিষয় আছে। অনেকগুলো কাগজ। বিশাল। এগুলো আমার অফিসে ছিল। করোনাভাইরাসের কারণে একটা সুবিধা হয়েছে। ঘরে থাকার কারণে সেগুলো সব ধীরে ধীরে দেখছি। সেখানে ওই সময়কার কিছু পাওয়া যায় কিনা সেই চেষ্টা করছি। যদি কিছু সংগ্রহ করা যায়।

ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top