
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ১৩৫টি গ্রামের মধ্যে ৮০টি গ্রাম ও রৌমারী উপজেলা সদর হাট-বাজারসহ ১০টি হাট-বাজার বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ২ লাখ মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। গো-খাদ্যের সংকটে আরও বিপাকে রয়েছে গরু, মহিষ, ছাগল-ভেড়া ও হাসঁ-মুরগি নিয়ে। এদের মধ্যে বসবাসের অনুপযোগি বাড়ি ঘরের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে উচু বাঁধ ও বিভিন্ন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে।
রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, দ্বিতীয় দফায় বন্যায় দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুই ধাপে ৩৬ মে.টন জি আর চাল ও নগদ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ওই নগদ দিয়ে শুকনো খাবার কিনে প্যাকেট করে বিতরণ করা হচ্ছে। জিআর এর চাল চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান বলেন, পানি গত কয়েক দিন ধরে নদ-নদীগুলোতে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ৭০ ভাগ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রৌমারী শহর রক্ষা বাঁধটি ভেঙ্গে উপজেলার ৮০ ভাগ এলাকা এখন পানির নিচে রয়েছে। এলাকার বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে আমরা সার্বক্ষনিক বন্যা পরিস্থিতি খোঁজ খবর রাখছি।

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।