রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ইছামতি, বাঙালী ও যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ধীর গতীতে পানি কমে শনিবার দুপুর ১২টায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১৫সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বাড়িঘর থেকে নামেনি বানের পানি। ফলে তলিয়ে যাওয়া নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। উল্টো পানিবন্দি অবস্থায় আটকে থেকে নিরাপদ সুপেয় পানিসহ খাদ্য সংকটে ভুগছেন তারা।
জানা গেছে, উজানের ঢলে ও অতিবর্ষণে দুই সপ্তাহ আগে থেকে যমুনা নদীর পানি বেড়ে ১২ জুন সকাল ৬টার দিকে বিপৎসীমা অতিক্রম করে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে ১৭ জুন সকাল ৬টার দিকে বিপৎসীমার ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই দিন দুপুর ১২টা থেকে যমুনা নদীর পানি ধীরে ধীরে কমছে। ফলে এ উপজেলার বৈশাখী ও রাধানগরসহ অনান্য চরের অধিকাংশ স্থানেই পানি জমে আছে।
যমুনার পানির তীব্র স্রোতে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ইদুরের গর্ত দিয়ে পানি চুইয়ে বাধের পশ্চিম দিকে গড়ে পড়ছে। এতে করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো হুমিকর মুখে পড়েছে। এছাড়া তলিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট। পানিবন্দি এলাকার অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্র, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ উঁচু জায়গাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়া যমুনা চরে বসবাসকারী অনেকে ঘর-বাড়ি ভেঙে নৌকায় করে নদীতীরে চলে আসছেন। বন্যার দুর্যোগ থেকে স্থায়ী সমাধান খুঁজতে তারা চরের পৈত্রিক ভিটেমাটি ছেড়ে আসছেন। একদিকে করোনা দূর্যোগের মাঝে বন্যা অন্যদিকে বৃষ্টিতে এসব মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এসব এলাকার অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী মানুষ কষ্টে রয়েছেন। চারপাশে বন্যার পানির মধ্যে শিশুদের নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বানভাসীরা। বন্যা কবলিত এলাকার ধান, পাটসহ আবাদী জমির মৌসুমী ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব এলাকায় নিরাপদ পানি ও গো-খাদ্যের চরম সংকট রয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, প্রতিদিনই বন্যা দূর্গত মানুষের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বানভাসি মানুষের মাঝে চাল ও শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন ধরণের ত্রান সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রাখা হয়েছে। বাঁধে ও উচু স্থানে আশ্রিতদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।