কাজিপুর প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও সা¤প্রতিক বৃষ্টিতে কাজিপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় যমুনার কাজিপুর পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপদ সীমার ৬৯ সেমি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে আরও বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। শুভগাছা ইউনিয়নের বীরশুভগাছায় এ বছর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্মিত সেতুটি বন্যার পানির তোড়ে দেবে গেছে।
সোমবার থেকে সেখানে পাউবো এবং স্থাণীয় লোকজন সেতুটি রক্ষায় কাজ করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেতুটির পাশের পুরাতন ওয়াপদা বাধেও ধস নেমেছে।
এদিকে চরগিরিশ ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র পাকা রাস্তার জোড়া সেতুটি পানিতে তলিয়ে গেছে। বাহাদুরের ঘাট থেকে ভেটুয়া ঘাট হয়ে এই সেতু পার হয়ে কাজিপুর উপজেলায় যেতে হয়। পাশাপাশি দুটি সেতু একসাথে হওয়ায় স্থাণীয়রা এটিকে জোড়া ব্রিজ বলে। গত বছর বন্যায় ব্রীজটির নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে একপাশে দেবে যায়। তারপরেও ওই সেতু হয়েই যাতায়াত চালু ছিলো।কিন্তু এ বছরের বন্যায় সেতুটি দিয়ে চলাচল বন্ধ রয়েছে।
চরগিরিশ ইউনিয়র আ.লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মালেক জানান, ‘বন্যায়ে ব্রিজটির ক্ষতি হয়ে গেছে। পানি নেমে গেলে এর সংস্কার করা জরুরি।’
এদিকে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে।
কাজিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম শাহা আলম মোলা জানান, ‘ এরই মধ্যে বন্যা কবলিত ইউনিয়নগুলোতে ২৩ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ‘বন্যার্তদের জন্যে বাড়তি বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।