দালালের খপ্পরে দেওয়ানগঞ্জে পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহক

S M Ashraful Azom
0
দালালের খপ্পরে দেওয়ানগঞ্জে পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহক

জামালপুর সংবাদদাতা : দালালের খপ্পরে পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। টাকা দিয়েও বিদ্যুতের সংযোগ না পেয়ে হতাশায় পড়েছেন। জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দেওয়ানগঞ্জ সাব জোনাল অফিসের আওয়াধীন মিটার স্থাপন ও  সংযোগ দেওয়া নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়। 
জানাযায়, উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের বাহাদুরাবাদ, আজিজলপুর, গবিনাথপাড়া, মুনছুর, মন্নিয়াপাড়া ও চর বাহাদুরাবাদ পশ্চিমপাড়া এলাকায় নতুন বিদ্যুৎ  লাইন স্থাপনের অনুমোদন হয়। ২০১৭ সালে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩ কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ লাইন  নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। এতে করে এসব এলাকায় প্রায় ৮৩৫ টি গ্রাহকের বাড়িতে নতুন মিটার স্থাপন করে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার কথা বলে। সে সময় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজসে চর বাহাদুরাবাদ গ্রামের ইদ্রীস আলী ইদুর এর ছেলে (পল্লী বিদ্যুতের দালাল নামে খ্যাত) সাইফুল ইসলাম বিপুল সে ওই সব এলাকায় ৮৩৫জনের বাড়িতে নতুন মিটার স্থাপনের কথা বলে প্রতিটি মিটার স্থপনের জন্য ৫ হাজার ২শ টাকা হাতিয়ে নেয়। দীর্ঘদির অতিবাহিতের পর গত দুই মাস আগে ৮৩৫জন গ্রাহকের মধ্যে মুনছুর গ্রামে মাত্র ১০০টি নতুন মিটার স্থাপন করে সংযোগ দিলেও অবশিষ্ট ৭শ ৩৫জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৩৮লক্ষ ২২হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহন করে মিটার স্থাপন না করে নানা টালবাহানা করে আসছেন। ফলে পল্লী এলাকার সহজ সরল  মানুষগুলো টাকা দিয়েও পড়ছেন চমর বিপাকে।
পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে পল্লী বিদ্যুতের দালাল নামে খ্যাত সাইফুল ইসলাম বিপুল সে দাবীকৃত মিটার প্রতি অতিরিক্ত টাকা  নিয়ে অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দিয়ে নানান তালবাহানা করছেন। এবিষয়ে এলাকার ভোক্তভোগী মকবুল হোসেন নাজিম, ফিরুজ আল মামুন, আব্দুর সামাদ, ছালাম, ছাওার বলেন প্রায় দুই বছর আগে সমিতির লোকজন এসে পল্লী বিদ্যুতের দালাল সাইফুল ইসলাম বিপুলের কাছে টাকা জমা দিয়ে কাগজপত্র ও মিটার সংযোগ নিতে বলে। তাই আমরা তার কাছে টাকা জমা দিয়েছি। কিন্তৃ দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও এসব গ্রামের গ্রাহকদের বাড়িতে বিদ্যুতের আলো জ্বলছে না। ফলে আমরা বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা দেওয়ানগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি অফিসের কর্মকর্তার কাছে বার বার যেয়েও কোন সমাধান পাইনি।
ভুক্তভোগি জহুরুল, মান্নান ও ইউপি সদস্য তারা মিয়া বলেন, আমরা নিরুপায়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দ্দেশ, রয়েছে প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুতায়ন করার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন যাবত আমরা অন্ধকারে রয়েছি। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এসব দালালদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের সর্বশান্ত করছে। তাই ভুক্তভোগিদের দাবী পল্লী বিদ্যুৎ দালাল সাইফুল ইসলাম বিপুলের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করে দ্রæত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। 
অপর দিকে বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাকিরুজ্জামান রাখাল এষিয়ে বলেন, আমি বিষয়টি জানি। দীর্ঘদিন যাবত এলাকাবাসিরা টাকা দিয়েও বিদ্যুত পাচ্ছে না তা খুবই দুঃজনক। 
এব্যপারে দালাল সাইফুল ইসলাম বিপুলের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়নি। আমি স্থানীয় ইলেক্ট্রিশিয়ান দিয়ে কাজ করিয়েছি কিন্তুু করোনার কারনে মিটার স্থাপন কাজ গুলো দেরি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
দেওয়ানগঞ্জের সাব জোনাল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত এজিএম সাইদুর রহমান জানান অফিসে কোন গ্রাহকের ফাইল জমা হয়নি। তবে তিনি এলাকায় মাইকিং করবেন, গ্রাহকরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে স্পট মিটার সংযুক্ত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করবেন বলে জানান। 


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top