
রেজাউল করিম বকুল, শেরপুর প্রতিনিধি: বন্যায় বীজতলা ক্ষতির আশংকায় এবার শেরপুরের শ্রীবরদীতে আমন ধানের ভাসমান বীজতলা করেছেন নুর মোহাম্মদ নামে এক কৃষক। তিনি উপজেলার খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়নের লংগড়পাড়া গ্রামের ছায়েদ আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার এই ভাসমান বীজতলা দেখে বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনের মধ্যে সাড়া পড়েছে। সোমবার সরেজমিন গেলে তিনি তুলে ধরেন তার এই ভাসমান বীজতলার সফতার কথা।
কৃষক নুর মোহাম্মদ জানান, তাদের এলাকায় প্রতি বছর বন্যায় আমন ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে যায়। এতে বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যার কারণে অনেক কৃষক আমন ধানের চারার অভাবে সময় মতো ক্ষেতে চারা রোপন করতে পারেন না। অনেকের ক্ষেত পড়ে থাকে বিরান ভূমি। প্রায় এক মাস আগে তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের পরামর্শে আমন ধানের ভাসমান বীজতলা তৈরি করেন। এক একর জমির জন্যে ৮ কেজি হাইব্রীড জাতের ধানের চারার জন্যে পানির ওপর ৮টি বেড তৈরি করেন। এতে তার খরচ হয় প্রায় ৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ভাসমান বীজতলায় আমন ধানের চারা বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এই ভাসমান আমন ধানের বীজতলা দেখে তার এলাকার লোকজনও আগ্রহ প্রকাশ করছেন। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জাবের মিয়া বলেন, খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এতে আমন ধানের বীজতলার সংকট দেখা দেয়। বন্যায় এই ভাসমান এই বীজতলার কোনো ক্ষতি হবে না। এই জন্য অনেকেই আগামিতে ভাসমান বীজতলা করবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় ভাসমান বীজতলা করার পরামর্শ দেয়া হয়। যাতে বীজতলার অভাবে আমন ধান চাষের বিঘœ না ঘটে। এতে ব্যায় একটু বেশি হলেও আমন ধানের চারার অভাব পড়বে না।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।