
রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় কাজলী বিলের মাঝে অপরিকল্পিত ভাবে নির্মান করা বাঁধ অপসারণের দাবীতে ইউএনওর নিকট স্মারকলিপি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট স্মারক লিপি জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা। এরআগে কাজুলী বিলের বাঁধের ওপর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
উক্ত স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন কর্মসুচিতে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার শিকার কৃষকদের পক্ষে ধুনট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাল মিয়া, ইউপি সদস্য প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার, স্থানীয় মাতব্বর ও জমি মালিক আজিজুল হক, আমিনূল হক, মাহিনূর ইসলাম, আবুল হোসেনসহ কয়েকশ কৃষক অংশ নেন।
জানা গেছে, উপজেলার বিলকাজলী, মাঠপাড়া, চালাপাড়া ও পেঁচীবাড়ি গ্রামের মাঝে ফসলের মাঠের নি¤œাঞ্চলটি কাজলি বিল নামে পরিচিত। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে বিলের নিচু অঞ্চলের জমিগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বিলটি প্রশস্ত হওয়ায় এবং পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা থাকায় অল্প দিনেই জমিগুলো ফসল চাষের উপযোগী হয়।
প্রায় এক বছর আগে উপজেলার বিলকাজলী গ্রামের হাকিম আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম ও রহমত আলী এবং চালাপাড়া গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে আজিজার রহমান মন্ডল ও হারেজ আলী মন্ডল বিলের মাঝে অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ নির্মান করে মাছ চাষ শুরু করেছে। বিলের মাঝে বাঁধ নির্মান করায় বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে বাঁধের উজানের প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চলতি মৌসুমে ওইসব জমিগুলো চাষাবাদের অনুযোগী হয়ে পড়েছে।
অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মানকারীদের পক্ষে রহমত আলী জানান, তার জমি বেশী নিচু হওয়ায় সেখানে আবাদ করা সম্ভব হয় না। সেকারনে এক পাশ ফাঁকা রেখে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছেন। তারপরও যদি সমস্যা হয় তবে বাঁধ অপরাসণ করে দেয়া হবে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, কৃষকদের অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।