মেলান্দহ হাসপাতালের গাইনী ডাক্তারকে হত্যা : দাবি স্বজনদের

S M Ashraful Azom
0
মেলান্দহ হাসপাতালের গাইনী ডাক্তারকে হত্যা  দাবি স্বজনদের
ইনসেটে মৃত গাইনী ডাক্তার সুলতানা পারভীন

জামালপুর সংবাদদাতা:
 জামালপুরের মেলান্দহ হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার সুলতানা পারভীনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বজনরা। মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের দাবি জানালেন স্বাস্থ ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নিলুফার নাজনীনের কাছে। যুগ্মসচিব ২২ আগস্ট দুপুরে মেলান্দহ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসলে ওই ডাক্তারের পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আজাদ, বোন মেরিনা পারভীন এবং ভগ্নিপতি আসাদুল হাসান কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই অভিযোগ করেন। 
এ সময় ডাক্তার সুলতানা পারভীনের পিতা আলাউদ্দিন আজাদ জে¦ার দিয়ে বলেন যে, তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। লাশের চোখ-মুখে রক্তমাখা ও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কর্তব্য পালনকালে সুলতানা পারভীন মানষিক যাতনা, বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়াও তার মৃত্যুর ঘটনার সাথে সুলতানা পারভীনের পূর্বের স্বামী সাব্বির এবং তার মামা মকবুল হোসেন মুর্শেদের হাত থাকতে পারে। সুলতানা পারভীনের মোবাইলে প্রাণ নাশের অনেক হুমকি-এসএমএস দেয়ার কথাও বাবা-মার কাছে জানিয়েছেন। মোবাইলের কললিস্ট ধরে অনুসন্ধান করলেই অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। আলাউদ্দিন আজাদ তাঁর মেয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথাও ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি আরো বলেন-তাঁর মেয়ে ডা. সুলতানা পারভীনের মৃতদেহের প্রতি অবজ্ঞা-অযতœ-অবহেলা করা হয়েছে। এতেই শেষনয়, স্থানীয়ভাবে লাশের জানাজার ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি ডা. সুলতানা পারভীনের লাশ পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিনিধিও আসেনি। 
যুগ্মসচিব এ সময় স্থানীয় স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হককে উদ্দেশ্য করে বলেন-ছোটখাট কাজগুলো সম্পন্ন না করার দায় এড়াতে পারে না। নিলুফার নাজনীন ভূক্তভোগির কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং সর্বোচ্চ সহায়তার আশ^াস দেন। এ সময় তিনি ডাক্তার সুলতানা পারভীনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এর আগের দিন সন্ধ্যায় ডাক্তার সুলতানা পারভীনের পিতা-বোন-ভগ্নিপতি জামালপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনেও তাঁর মেয়েকে হত্যার অভিযোগ আনেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামীন, স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হকসহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং গণমাধ্যম কর্মীরা এতে উপস্থিত ছিলেন। নিলুফার নাজনীন এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন দাপ্তরিক কর্মকান্ড পরিদর্শনসহ ভর্তিকৃত রোগিদের সাথেও কোশল বিনিময় করেন। বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান-ভুক্তভোগি এখনো কোন অভিযোগ দেননি। 
উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেলান্দহ হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে গাইনী ডাক্তার সুলতানা পারভীনের লাশ উদ্ধার শেষে মর্গে প্রেরণ করা হয়।


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top