
রেজাউল করিম বকুল, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের শ্রীবরদীতে দু’পক্ষের সীমানা নিয়ে বিরোধে সড়কে চলাচল বন্ধ হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের সাতানিপাড়া ও খঞ্চেপাড়া গ্রামসহ ৬টি গ্রামের শতশত মানুষ। এ ব্যাপারে শনিবার সরেজমিন গেলে উভয় পক্ষ তুলে ধরেন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
জানা যায়, কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খঞ্চেপাড়া ও সাতানিপাড়া গ্রামের সীমানা দিয়ে সড়কটি প্রায় দুইশ বছরের পুরনো। এ সড়কে চলাচল করে স্থানীয় গড়খোলা, মলামারি, গবরিকুড়া, পিরিচপুর ও পার্শ্ববর্তী বকশিগঞ্জ উপজেলার বাট্রাজোড়, নয়াবাজার, জিন্নাহ বাজার ও কামালপুরের লোকজন। এছাড়াও খঞ্চেপাড়ায় রয়েছে একটি কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীসহ লোকজনের চলাচল।করতে হচ্ছে বিকল্প সড়কে। দীর্ঘদিন যাবত সাতানিপাড়া গ্রামের মাহাবুুবুর রহমান ও তাদের লোকজনের সাথে জমির সীমানা নিয়ে খঞ্চেপাড়া গ্রামের কাকিলাকুড়া মালেকুননেসা হযরত আলী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম এ খালেক বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে মাহাবুবুর রহমান ও তার লোকজন সড়কে কাটাতারের বেড়া নির্মাণ করেন। এতে বন্ধ হয় ওই সড়কে চলাচল। এ ব্যাপারে মাহাবুবুর রহমানের অভিযোগ, সড়কটি পাকা করণের সময় সড়কের বেশিরভাগ তাদের জমিতে। এছাড়াও সড়কের ওপর বাউন্ডারি দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি। এ জন্য তারা কাটাতারের বেড়া দিয়েছে। মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি সুষ্ঠ বিচারের জন্যে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
তবে পাল্টা অভিযোগ তুলেন কাকিলাকুড়া মালেকুননেসা হযরত আলী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম এ খালেক। তিনি জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ সড়কে মুক্তিযোদ্ধারা যাতায়াত করেছে। সেই থেকে এ সড়কে প্রতিদিন শতশত লোক চলাচল করে। সড়কটির কিছু অংশ পাকা হয়েছে। এর আগেই তিনি বাউন্ডারি দিয়েছেন। তবে বাউন্ডারি যদি সড়কের ভিতর গিয়ে থাকে তাহলে সরিয়ে নিবেন। তিনি বলেন, এখানে কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। সড়কটি বন্ধ করে দেয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ছাত্রছাত্রীসহ শতশত মানুষ। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও থানায় জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাকিলাকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান হামিদ উলাহ তালুকদার বলেন, এ ব্যাপারে শালিস হওয়ার কথা। বৃষ্টির কারণে হচ্ছেনা। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই শালিস করে সড়কে চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা প্রশাসন সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। এমনটাই প্রত্যাশা করেন ভুক্তভোগি ও স্থানীয়রা।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।