
শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদ ও জিঞ্জিরাম নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে । ফলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। যার কারনে মাসাধিকাল পানিবন্দি হয়ে থাকে হাজারো পরিবার। বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি কমতে শুরু করায় রৌমারী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বাঁধ ও উঁচুস্থানে আশ্রয় নেওয়া বানভাসি পরিবার গুলো ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে বন্যার পানি কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ।
উপজেলা হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, গত পহেলা জুলাই থেকে উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। তখন থেকে বন্যায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের শিশু ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও জ¦রসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত গত এক সপ্তাহ থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক পানিবাহিত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভর্তি হয়েছে চাক্তাবাড়ি গ্রামের এনামুল হকের ছেলে আল আমিন (১৫ মাস), কোনাচীপাড়া গ্রামের নবীউলের ছেলে সিফাত (১৮ মাস), পুরারচর গ্রামের রফিকুলের ছেলে খায়রুল ইসলাম (৪) বছর, মির্জাপাড়া গ্রামের আশরাফুলের ছেলে মিম আক্তার (১) বছর, নতুনবন্দর গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে আব্দুল্লাহ (৪)বছর, কাউয়ারচর গ্রামের শফিকুলের ছেলে রিদুয়ান (৭ মাস)সহ আরো অনেকেই। বর্তমানে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে এসব রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকগণ।
রৌমারী উপ-সহকারি প্রকৌশলী শেখবর আলী জানান, উপজেলার বন্যা কালিন ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে ২৩ টি নলকুপ স্থাপন হয়েছে। তাছাড়া পানি বিশুদ্ধ করন ৩০ হাজার টেবলেট ও ৭৫ কেজি বিøচিং পাউডার বিতরন করা হয়েছে।
উপজেলা হাসপাতাল কর্মকর্তা ডা. মোমেনুল ইসলাম বলেন, বন্যাজনিত কারণে পানি বাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। গত সপ্তাহ থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। তবে এ সময় শিশুরাই সাধারণত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বন্যা কবলিত এলাকায় শুরু থেকেই মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। তারা গ্রামেগঞ্জে খাবার স্যালাইনসহ সকল প্রকার ঔষধ বিতরন করা হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঔষধ মজুদ রয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।