
আবদুল জলিল: সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় মধ্যভাদ্রেই বাজারে শীতের সবজি! বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, মুলা কী নেই বাজারে? কাঁচাবাজারের দোকানগুলোতে এগুলো থরে থরে শোভা পেলেও এসব নাগালের বাইরে সাধারণ মানুষের। যতটুকু না হলেই নয়, ততটুকুই কিনছে মানুষ। কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাজারে সবজির দাম বেশ চড়া। সেই সাথে বেড়েছে অন্যান্য জিনিসের দামও। বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দামও। মাছ-মুরগির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে অল্প কিছু বেড়েছে। জেলার ৯ টি উপজেলাতেই পাওয়া যাচ্ছে শীতের সবজি। দাম স্থানভেদে কিছু ওঠানামা করে।
বাজারে নতুন এসেছে শিম। শীতের সবজি হলেও অনেক আগেই বাজারে এসেছে। বাড়তি টাকার জন্যই চাষিরা আগাম চাষ করেছেন লোভনীয় এই সবজিটি। চাষি কত দামে বিক্রি করছেন তা দোকানিরা বলছেন না। দোকানিদের কথা হচ্ছে কয়েক হাত ঘুরে তারা পেয়েছেন। তারা জানেন না চাষি কত পেয়েছেন। শুধু ১০০ টাকায় ক্রেতা কিনে খাচ্ছে এটুকু দোকানিদের মুখস্থ। এত দাম দিয়ে অনেকেরই শিম কেনার সামর্থ্য নেই। বাজারে গত সপ্তাহের মতোই সবজির দাম বেশ চড়া। এখনো ৪০ টাকার টাকার নিচে শুধু কচুর ছরা আর পেঁপেই পাওয়া যাচ্ছে। পেঁপে আবার একেবারে অপরিপক্ব। যা খেতে তিতা লাগে। ক্রেতাদের কেউ কেউ বলেছেন, অসৎ কিছু চাষি বেশি দামের আশায় অপরিপক্ব পেঁপে বিক্রি করে দিচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। অন্যান্য মুরগির দামও বেড়েছে। তবে বাজার ভেদে দামের কিছুটা তারতম্য রয়েছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। রসুন যেখানে বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকায়, সেই রসুন এখন ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। ডিমের দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে।
বাজারের এই পরিস্থিতি মানুষ আসলেই দিশেহারা। বিশেষ করে সবজির বাজার চড়া থাকায় মানুষ পরিবারের চাহিদামতো সবজিও কিনতে পারছেন না। আব্দুর রহিম নামের এক ক্রেতা বলেন, একটা মাঝারি গোছের কচুর মুখী কিনতেও ৪০ টাকা লাগছে। তবে মাছের দাম এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। এক কেজি ওজনের বেশি হবে এমন ইলিশের কেজি ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর আধা কেজি ওজনের ইলিশ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় কেজি মিলছে। বাজারভেদে মাছের দাম বাড়ছে কমছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।