
কাজিপুর প্রতিনিধি: ইউএনও’র বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী বাজারের ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম বাবু।
বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সোনামুখী বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। এর আগে সকাল থেকে সোনমুখি বাজারের পশ্চিমে অবস্থিত ফরিদুল ইসলাম বাবুসহ আরও তিনজনের দাবীকৃত ক্রয় করা সম্পত্তির সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করেন ইউএনও।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য বাবু বলেন, কাজিপুর উপজেলার কৃষ্ণ গোবিন্দপুর মৌজার এসএ ৫৭৬ নং খতিয়ানের ১০ শতক জমি তার বাবা মৃত আব্দুল হাই সরকার ১৯৯১ সালে ক্রয় করেন। তারপর থেকে বাবা আব্দুল হাই সরকার ও তার ওয়ারিশগণ ভোগদখলে রয়েছেন। ওই জমিতে তারা ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন। এ অবস্থায় করোনাকালের শুরুতে ওই জমি সরকারি ১নং খাস খতিয়ানের সম্পত্তি দাবী করে ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকী আমাদের ১শ বছরের জন্য লিজ নেয়ার জন্য বলেন। আমরা তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের জমি থেকে উচ্ছেদের জন্য পায়তারা করে। আমরা ওই জমি থেকে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত স্থিতাবস্থা জারি করেন। কিন্তু আজ হঠাৎ করে বিনা নোটিশে তিনি ভেকু মেশিন নিয়ে এসে আমাদের জমির উপর প্রতিষ্ঠিত স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এর ফলে আমরা প্রায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। জমির রেকর্ড সংশোধনী নিয়ে মামলা চলমান থাকা স্বত্বেও কোন কিছুর তোয়াক্ক না করে জমি থেকে আমাদের উচ্ছেদ করলেন। আমরা সরকারের কাছে এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, ফরিদুল ইসলাম বাবুর বাবা যে সম্পত্তি ক্রয় করেছেন সেটা অন্য দাগের। কিন্তু তারা ভূলবশত এই জমি দখল করে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এ কারণেই ওইসব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়েছে।
আদালতের স্থিতাবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, আদালত ওই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও পরবর্তী শুনানীতে সেটা ভ্যাকেট হয়ে যায়। ফলে এ জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আর কোন বাঁধা নেই।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।