টাঙ্গাইল অন্ত:কোন্দলে বিএনপি

S M Ashraful Azom
0
টাঙ্গাইল অন্তকোন্দলে বিএনপি


সেবা ডেস্ক: আন্দোলন-সংগ্রামে উর্বর টাঙ্গাইল বিএনপি’র রাজনীতি চলছে অনেকটা ঢিমেতালে। নির্দিষ্ট কিছু কর্মসূচির বাইরে এক সময়ের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি’কে স্থানীয় সাংগঠনিক কর্মকান্ডের তৎপরতা তেমন চোখে পড়েনা।

জেলা কার্যালয় বিহীন অন্ত:কোন্দলে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। এক সময়ের সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী বিএনপি এখন পদ-পদবীর কোন্দলে জর্জরিত হয়ে অনেকটা নেতৃত্ব শূন্য। 

জানা গেছে, ৩৪১৩.৬৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের টাঙ্গাইল জেলায় ৪০ লাখ ৫ হাজার ৮৩জন মানুষের বাসবাস। ৮টি সংসদীয় আসনে জেলায় মোট ভোটার ২৫ লাখ ১৫ হাজার ৩২৭ জন।
 
বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন (১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতিত) পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ৪বার, বিএনপি ৩বার ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ৪বার বিজয়ী হয়েছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার টাঙ্গাইল জেলা বরাবরই রাজনীতি সচেতন। জাতীয় ও স্থানীয় সকল আন্দোলন-সংগ্রামে এ জেলা অগ্রগণ্য। জেলার রাজনীতিতে এক সময় পরিবারতান্ত্রিক রাজনৈতিক বলয়ে আবর্তিত হতো।

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি টাঙ্গাইল-৫ (সদর) সংসদীয় (১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ব্যতিত) আসনে তিন বার বিজয়ী হয়েছে।

সর্বশেষ বিগত ২০১৭ সালের মে মাসে কেন্দ্র থেকে জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। দলীয় অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতাসহ নানা জটিলতায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি।
 
এ সময় কৃষিবিদ শামছুল আলম তোফা সভাপতি ও অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবালকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

জেলা বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে নেতৃত্বের অন্ত:কোন্দলে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী ইমাম তপনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কাজী শফিকুর রহমান লিটন, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আহমেদুল হক শাতিল, দেওয়ান শফিকুল ইসলাম লিটন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফ পাহেলী, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক তারেকুল ইসলাম খান ঝলক তাদের সমর্থিত নেতাকর্মীরা সম্মেলন বয়কট করেন।

এ সময় তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপর থেকে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কর্মসূচি দুই গ্রুপ আলাদাভাবে পালন করে।

অন্ত:কোন্দলের কারণে ধীরে ধীরে সাংগঠনিক কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। গত মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামছুল আলম তোফা বিদেশে চলে যান। যাওয়ার প্রাক্কালে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছাইদুল হক ছাদুকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে যান।

ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পেলেও ছাইদুল হক ছাদু দলীয় কার্যক্রমে একপ্রকার নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল এককভাবে তার সমর্থিত নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি করোনা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। ফলে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম এক প্রকার ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে পড়ে।

অপরদিকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী ইমাম তপন ও হাসানুজ্জামিল শাহীনের নেতৃত্বে পৃথকভাবে দলীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।
 
কেন্দ্র থেকে ‘পকেট কমিটি’ ঘোষণা করায় ওই কমিটি বয়কট করা হয়েছে মন্তব্য করে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, আমাদের আন্দোলন বিএনপির বিরুদ্ধে নয়, কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেওয়া কমিটির বিরুদ্ধে। প্রায় তিন বছর হলেও ওই বিতর্কিত কমিটি এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি।

বিএনপির ত্যাগী নেতাদের সমন্বয়ে জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।

বিএনপি একটি বৃহৎ ও গণমানুষের দল মন্তব্য করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, বিএনপি একটি বড় সংগঠন হওয়ায় এখানে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি কেউ কেউ অসুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও লিপ্ত হতে পারে। 



-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top